দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লাটভিয়া ও এস্তোনিয়ার সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পসকভের একটি বিমানবন্দরে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সেখানে ব্যাপক বিস্ফোরণ এবং ৪টি বড় পরিবহন বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।
জরুরি পরিষেবার উদ্ধৃতি দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্র-চালিত বার্তাসংস্থা তাস আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) ভোরে বলেছে, ড্রোন হামলার ঘটনায় আইএল-৭৬ মডেলের রাশিয়ার ৪টি ভারি পরিবহন বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পরিবহন বিমানগুলো দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর ওয়ার্কহর্স ছিল। হামলার শিকার পসকভের এই বিমানবন্দরটি ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
হামলার পর হওয়া বিস্ফোরণ ও সাইরেনের শব্দসহ বড় অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও পোস্ট করেছেন আঞ্চলিক গভর্নর মিখাইল ভেদেরনিকভ। পরে তিনি টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলেছেন যে, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পসকভের বিমানবন্দরে ওই ড্রোন হামলা প্রতিহত করছে।’
হামলার ঘটনাস্থলে থাকা ভেদেরনিকভ আরও বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, হতাহতের কোনই খবর পাওয়া যায়নি’। হামলায় বিমানবন্দরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে পসকভ অঞ্চলে ফ্লাইট চলাচল সীমিত করা হয়েছে ও মস্কোর ভনুকোভো বিমানবন্দরের চারপাশের আকাশপথও আজ (বুধবার) ভোরের দিকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে রাশিয়ান বিমান চলাচল কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে তাস রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।
রুশ এই বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে যে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী পসকভ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা প্রতিহত করছে এমন খবরের মধ্যে মস্কোর বিমানবন্দরটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
অপরদিকে রাশিয়ার সেনাবাহিনী বুধবার ভোরে বলেছে যে, তারা রাশিয়ার দক্ষিণ ব্রায়ানস্ক অঞ্চল ও কেন্দ্রীয় অরলভ এবং রিয়াজান অঞ্চলে ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org