ওজন ঝরাতে কী করবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন ঝরানোরও কিন্তু খরচের ব্যাপার। চটজলদি মেদ ঝরাতে চাইলে বেশ কিছু খরচও করতে হয়। তবে নিয়ম করে কিছু যোগাসন, সাঁতার, ডায়েট করে ওজন ঝরাতে পারেন সহজেই।

সারাবছর আমরা ওজন ঝরানো নিয়ে খুব বেশি সচেতন না হলেও কোনো পরব এলে অনেকেই ওজন নিয়ে মাথা ঘামাতে শুরু করেন।

কেও কেও আবার হালফ্যাশনের পোশাকে ফিট দেখানোর জন্যও ওজন ঝরাতে চাইছেন, কেও আবার বাড়তি ভুঁড়ি ঢাকতে ব্যায়াম করতে উদ্যোগী হচ্ছেন। তবে ওজন ঝরানোও বেশ খরচসাপেক্ষ বিষয়।

Related Post

জিম

তড়িঘড়ি করে ওজন ঝরাতে জিমের জুড়ি নেই। জিমগুলোতে লোকজনের ভিড় সেই কারণেই চোখে পড়ে। জিমে গেলে আপনার চাহিদা বুঝে ট্রেনার ব্যায়ামের তালিকা তৈরি করে দেবেন। তার নজরদারিতে সেইসব শরীরচর্চা করে ঝরতে পারে ওজন। আবার জিমে ‘পার্সোনাল ট্রেনারের’ সুবিধাও থাকে। সেই ক্ষেত্রে এক জন প্রশিক্ষক সব সময় আপনার সঙ্গেই থাকবেন, তার পরামর্শ মতো আপনাকে শরীরচর্চা করতে হবে। তিনি প্রতিনিয়ত আপনার ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন এবং কী করলে আরও দ্রুত ওজন ঝরানো সম্ভব সেই পরামর্শও আপনাকে তিনি দেবেন। ‘পার্সোনাল ট্রেনারের’ অধীনে শরীরচর্চা করতে হলে অবশ্য বেশ অনেকগুলো অর্থ আপনাকে গুণতে হবে। তবে পার্সোনাল না করে সাধারণ জিমে ভর্তি হলেও বেশ খরচ বহন করতে হবে আপনাকে।

ডায়েট

ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করে কড়া ডায়েট শুরু করে ওজন ঝরিয়ে ফেলেন অনেকেই। তবে এই ক্ষেত্রে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির ঘাটতিও হতে পারে, যে কারণে শরীরের বড় ক্ষতিও হয়ে যায় অনেক সময়। তাই সঠিক পদ্ধতিতে ওজন ঝরাতে চাইলে পুষ্টিবিদদের কাছ থেকে ডায়েট চার্ট বানিয়ে ফেলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এক জন পুষ্টিবিদের কাছে গিয়ে ডায়েট চার্ট বানাতে হলে আপনার অবশ্যই খরচ করতে হবে। তিনি আপনাকে কী ধরনের ডায়েট চার্ট দিচ্ছেন তার উপর নির্ভর করেই বাকি খরচটা হবে।

জ়ুম্বা

আবার অনেকেই জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে ভালবাসেন না। জিমে না গিয়ে রোগা হতে চাইলে জ়ুম্বা ক্লাসেও ভর্তি হতে পারেন। বিভিন্ন শহরাঞ্চলে একাধিক জায়গায় জ়ুম্বা ক্লাস রয়েছে। নাচ করার শখ থাকলে মেদ ঝরাতে জ়ুম্বার উপরেও ভরসা রাখতে পারেন আপনি। দ্রুতলয়ের গানের তালে শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সঞ্চালন হয় জ়ুম্বায়, তাতেই ঝরে ওজন।

সাঁতার

সাঁতার কাটাও একটি ভালো ব্যায়াম। বিশেষ করে ওজন ঝরানোর জন্য সাঁতার কাটাও ভালো বিকল্প হতে পারে। সাঁতার কাটতে জানলে একটি সুইমিং ক্লাবে মেম্বারশিপ নিয়ে নিতে পারেন। শহরে একাধিক স্থানে সুইমিং ক্লাব রয়েছে। তবে ক্লাবগুলোর মেম্বারশিপ একটু খরচসাপেক্ষ বিষয়।

যোগাসন

এবার আসছি যোগাসন বিষয়ে। ওজন ঝরানোর জন্য যোগাসনের উপরে নির্ভর করা যায়। কেবল অফলাইনই নয়, ইচ্ছে করলে বর্তমানে অনলাইনেও যোগাসন অভ্যাস করতে পারেন। ইচ্ছে করলে কোনও যোগ ইনস্টিটিউটেও ভর্তি হতে পারেন। আবার ইচ্ছে করলে ঘরেও বিভিন্ন যোগাসন করতে পারেন। সেজন্য আপনাকে ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩ 4:45 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

নিয়ম না মেনে হাঁটলে সুফল পাওয়া দুষ্কর

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরচর্চার সব উপায়ের মধ্যে হাঁটাকেই বেশি গুরুত্ব দেন অনেকেই। তবে…

% দিন আগে

কমিউনিটির মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলতে আইএসডি ফেয়ার অনুষ্ঠিত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্কুল, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য এবং একাত্মতা উদযাপনে আইএসডি…

% দিন আগে

কৃষকদের জলবায়ু-সহিষ্ণু করে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবে আইফার্মার এবং উইনরক

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে গত ৮ মে আইফার্মার লিমিটেড ও…

% দিন আগে

তাহসানের সঞ্চালনায় ফ্যামিলি ফিউড-এর বাংলাদেশি সংস্করণ বঙ্গতে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম শীর্ষ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’তে শীঘ্রই আসছে জনপ্রিয় মার্কিন…

% দিন আগে

এসএসসিতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৩ দশমিক…

% দিন আগে

এসএসসি’র ফল প্রকাশ: প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসি’র ফলাফল হস্তান্তর

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং সমমান পরীক্ষার ফল…

% দিন আগে