দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ বিয়ের পর প্রায় ১৫ দিন অস্ট্রেলিয়াতে শুটিং শেষে দেশে ফিরেছেন। এসেই কাজল আরেফিন অমির ওয়েব ফিল্মে ‘অসময়’ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
ইতিপূর্বে ফারিণ ২০১৯ সালে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’ নাটকের মাধ্যমে প্রথম সবার নজর কাড়তে সমর্থ হন।
সেই নাটকের সৃতিচারণ করে সম্প্রতি ফারিণ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্টও করেছেন। ফারিণ এই সময় একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, “২০১৯ সালে আমি যখন কেও ছিলাম না, তখন আমি কাজল আরেফিন ওমি ভাইয়ার অফিসে গিয়েছিলাম। তখন ভাইয়া আমাকে ‘প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড’ নাটকে একটি চরিত্রের প্রস্তাব দেন। তিনি স্পষ্টভাবেই বলেছিলেন, ‘যদি আমি এই চরিত্রটি সিরিয়াসলি করি তবে এটি আমার ক্যারিয়ার পরিবর্তন করে দিতে পারে।”
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘যতোবার আমি ওমি ভাইয়ার অফিসে যায়, এই কথাগুলোই আমার মনে প্রতিধ্বনী হয়। এরপর থেকে আর ফিরে তাকাইনি। ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও মনে হচ্ছে গতকালের মতোই। ওমি ভাইয়ার কাছে আমি চিরকালই ঋণী থাকবো।’
ফারিণের মনে করেন, ‘আমাকে বিশ্বাস করার জন্য ও আমার প্রিয় দর্শকদের অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে গ্রহণ করার জন্যও। আমি জানি এটি কেবল শুরু ও আকাশের সীমানা। শেষে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘অসময়’ আসছে।
জানা গেছে, এ মাসের ১৩ বা ১৪ তারিখ থেকে ‘অসময়’ নাটকের শুটিং শুরুর পরিকল্পনা করছেন পরিচালক। সিনেমাটি ডিসেম্বরে ওটিটি প্লাটফর্ম বঙ্গতে দেখতে পারবেন দর্শকরা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org