দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায়। ওষুধ না থাকলেও বাড়ির কোন জিনিসগুলোতে ভরসা রাখবেন? আজ সেটিই জেনে নিন।
যারা ভোজনরসিক তারা বাইরে বেরোলেই রেস্তোরাঁর চৌকাঠ না পেরিয়ে বাড়ি ঢুকতে পারেন না। এরপর হঠাৎ কোনও ইঙ্গিত ছাড়া শুরু হয়ে যায় প্রচণ্ড পেটব্যথা। মাঝে-মধ্যে ব্যথার তীব্রতা এমন স্থানে গিয়ে পৌঁছায় যে, ওষুধ খেয়েও স্বস্তি পাওয়া যায় না। ওষুধ যদি কাজ নাও করে, তাহলে পেটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায়।
পেপারমিন্ট চা
পেটে ব্যথার সময় পেপারমিন্ট চা দারুণ কাজ দেবে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, বদহজম, পেটব্যথার শারীরিক সমস্যা লেগে থাকে। শুধু খাওয়া নয়, দৈনন্দিন জীবনের কিছু অনিয়মও এমন কিছু সমস্যা ডেকে আনে। সেগুলো কমাতে সাহায্য করে এই পিপারমেন্ট টি। যাদের পেটের গোলমাল মাঝে-মধ্যেই হয়ে থাকে, এই চা খেলে সত্যিই উপকার পাবেন।
দই
ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ অনেক সময়ই পেট ব্যথার কারণও হতে পারে। ব্যথার সঙ্গে লড়তে ভরসা রাখতে পারেন টক দই এর উপর। এই দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক। এই উপাদান ব্যাক্টেরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে। আবার সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়। তাই মাঝে-মধ্যেই যদি পেটব্যথা হয়, তাহলে প্রতিদিন অল্প পরিমাণ হলেও দই খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আদা
পেট ব্যথা ও পেটের গোলমাল থেকে দূরে থাকার অন্যতম একটি পথ হলো এই আদা। বমি বমি ভাব ও সেইসঙ্গে পেটে ব্যথা কমাতে আদার জুড়ি নেই। প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতেও আদা সত্যিই ভীষণভাবে উপকারী। রান্নায় যেমন আদা ব্যবহার করবেন, তেমনি প্রচণ্ড পেটে ব্যথায় আদা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। শরীরের সব রকম প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে এই আদা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org