দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড কিং শাহরুখ খানের আলোচিত সিনেমা ‘জওয়ান’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। তবে দিল্লির প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।
বড় পর্দায় নতুন লুকে বলিউড বাদশাকে দেখতে মুখিয়ে আছেন দর্শক এবং অনুরাগীরা। এদিকে শাহরুখের আগের সিনেমা ‘পাঠান’ বক্স অফিস হিট করায় এবার ‘জওয়ান’ নিয়ে উন্মাদনা আরও বেড়ে গেছে।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ৩১ আগস্ট মুক্তি পায় ট্রেলার। তারপরই শুরু হয় ‘জওয়ান’-এর অগ্রিম টিকিট বুকিং। ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়াও মিলেছে অগ্রিম বুকিং -এ। এমনকি, ‘পাঠান’-এর অগ্রিম বুকিংকেও টপকে গেছে এবার ‘জওয়ান’। নিজের গড়া নজির নিজেই ভাঙছেন শাহরুখ।
অপরদিকে মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তে দিল্লির অধিকাংশ স্থানে দর্শক এবং অনুরাগীরা দেখতে পাবেন না শাহরুখের ‘জওয়ান’। কারণ হলো আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এ বছরের জি-২০ সম্মেলন। এ সম্মেলনের নিরাপত্তার জন্য ৮ হতে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিল্লির বেশির ভাগ জায়গাতে থাকবে ব্যাপক কড়াকড়ি।
রাজধানীর একাধিক এলাকায় যাতায়াতেও থাকছে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। এর প্রভাব পড়তে চলেছে দিল্লির বেশির ভাগ প্রেক্ষাগৃহে। যে কারণে ৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেলেও সেই সপ্তাহান্তে দিল্লিবাসীর পক্ষে ‘জওয়ান’ দেখতে প্রেক্ষাগৃহে যাতায়াত করতে পারার সম্ভাবনায় নেই। যে কারণে, প্রথম সপ্তাহে যে দর্শক এবং অনুরাগীরা বড় পর্দায় দেখতে পাবেন শাহরুখকে, সেই আশা বেশ ক্ষীণ বললে চলে।
দিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জি২০ সম্মেলন। যে কারণে সপ্তাহান্তে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ, এমনকি শপিং মল। সুপ্রিম কোর্টও সাধারণ মানুষের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org