দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাইরাল জ্বর থেকে দ্রুত সেরে ওঠার ইচ্ছা থাকলে ডায়েটে কয়েকটি খাবার রাখতেই হবে। এতেই দেখবেন স্বাস্থ্যের হাল দ্রুত গতিতে ফিরে আসবে। তাই এইসব খাবার সম্পর্কে জেনে নিন।
বর্তমানে আবহাওয়ার সুযোগ নিয়েই সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাধিক ভাইরাস। এইসব জীবাণুর খপ্পরে পড়ে জ্বরজ্বারির মতো সমস্যার খপ্পরে পড়ছেন অনেকেই।
মুশকিলের বিষয় হলো, একবার ভাইরাল জ্বরের কবলে পড়লে মোটামুটি ৩ থেকে ৭ দিন ভীষণভাবে ভুগতে হচ্ছে। এমনকী জ্বর কমে গেলেও থেকে যাচ্ছে কাশি, দুর্বলতার মতো অযাচিত সমস্যাগুলো। তাই চিকিৎসকরা জ্বরে ভুক্তভোগীদের ডায়েট নিয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা মতে, জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ডায়েটে এমন সব খাবার রাখতে হবে যাতে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
দেরি না করে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নিন। তারপর সেগুলো পাতে রাখুন। আএতেই আপনার স্বাস্থ্যের হাল ফিরতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
চিকেন সুপ
ভাইরাল জ্বরের ফাঁদ থেকে দ্রুত সুস্থ হওয়ার ইচ্ছে থাকলে প্রতিদিন অন্তত এক থেকে দুইবার চিকেন সুপ খেতে হবে। এই চিকেন সুপে রয়েছে প্রোটিন, পানি ও ইলেকট্রোলাইটসের ভাণ্ডার। শুধু তা-ই নয়, এই সুপ হলো ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের আঁতুরঘর। তাই নিয়মিত চিকেন সুপ খেলে জ্বর সারিয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। সুতরাং জ্বর হলে ডায়েটে এই খাবারকে অবশ্যই জায়গা করে দিতে হবে। তাহলে ফিরে আসবে আপনার স্বাস্থ্যের হাল।
আদার
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, আদা হলো এক মহৌষধি। তাই একাধিক ছোট-বড় রোগের চিকিৎসায় আদা সেবন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, আদাতে এমন কিছু প্ল্যান্ট কম্পাউন্ড রয়েছে যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করে। এমনকী ইমিউনিটিকে চাঙ্গা রাখার কাজেও এই ভেষজের জুড়ি নেই। তাই জ্বর থেকে দ্রুত সুস্থ্য হয়ে ওঠার ইচ্ছে থাকলে কয়েক টুকরো আদা পানি দিয়ে গিলে খেয়ে নিন। এতেই পাবেন উপকার।
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার
ভিটামিন ডি শুধুমাত্র হাড়ের জোর বাড়ায় না, বরং ইমিউনিটিকে চাঙ্গা রাখার কাজেও এই ভিটামিনের জুড়ি নেই। এমনকি শরীরে এই ভিটামিনের অভাব মেটাতে পারলে কোভিড ও ফ্লু ভাইরাসের ফাঁদও এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে। তাই জ্বর সারিয়ে দ্রুত সুস্থ হওয়ার ইচ্ছে থালে ডায়েট চার্টে কড লিভার অয়েল, মাছ, দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার, আমন্ড, ওটস এবং সোয়াবিন দুধ অবশ্যই রাখতে হবে। তাহলে উপকার পাবেন।
দই
এক কথায় বলতে গেলে দইয়ের বিকল্প নেই। কারণ হলো এই দইতে রয়েছে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভাণ্ডার। এইসব ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের বেহাল দশা কাটানোর কাজে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি জানলে অবাক হবেন, অন্ত্রের হাল ফিরলেই বাড়ে ইমিউনিটি। তাই জ্বরে ভুক্তোভোগীরা অবশ্যই প্রতিদিনের ডায়েটে দই রাখুন। তবে এই সময় মিষ্টি দই খেলে উপকার পাওয়া যাবে না। বরং বাড়িতে পাতা টক দই খান। এতেই স্বাস্থ্যের বেহাল দশা কাটিয়ে উঠতে পারবেন অনায়াসে।
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান
ভাইরাল জ্বর থেকে দ্রুত সুস্থ হতে চাইলে আপনাকে ইমিউনিটি বাড়াতে হবে। আপনাকে এই কাজে সাহায্য করতে পারে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কিছু ফল, শাক এবং সবজি। তাই যতো দ্রুত সম্ভব নিজের ডায়েটে লেবু, ব্রকলি, কিউই, পলাং শাক, কেলে শাক, পেয়ারা রাখুন। এতে করে শরীর চাঙ্গা হবে। আবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পাশাপাশি ফিরবে আপনার স্বাস্থ্যের হালও। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩ 11:25 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…