দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী দিব্যা খোসলা কুমার বলেছেন, ‘কোলকাতা আমার খুব ভালো লাগে। ইচ্ছা রয়েছে বাংলা সিনেমায় অভিনয় করার। ভালো গল্প পেলে অভিনয় করবো। অল্প কিছু বাংলা বুঝি। বাংলা ছবিতে অভিনয় করার আগে ভালো করে বাংলা শিখে নেবো।’
‘ইয়ারিয়া ২’ সিনেমার প্রচারে এসে এভাবেই বাংলা সিনেমায় অভিনয় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী দিব্যা খোসলা কুমার।
কোলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের এক তথ্যে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয়বার কোলকাতায় গেলেন এই অভিনেত্রী। যদিও বাংলার সঙ্গে কোনো ধরনের নাড়ির টান নেই দিব্যার। বাংলা ভালো বোঝেন না বলে বাংলা সিনেমাও খুব একটা দেখেন না। প্রশ্ন উঠতেই পারে তাহলে হঠাৎ করে বাংলা সিনেমা নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠলেন কেনো এই অভিনেত্রী? এর উত্তর নিজেই দিলেন অভিনেত্রী। এর কারণ কোলকাতার অভিনেতা যশ দাসগুপ্ত।
‘ইয়ারিয়া ২’ সিনেমায় দিব্যার বিপরীতে অভিনয় করেছেন কোলকাতার এই অভিনেতা। তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন এই অভিনেত্রী। কোলকাতায় এসে যশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তার সম্পর্কে দিব্যা বলেছেন, ‘যশ ভালো একজন অভিনেতা। কাজের প্রতি তার একাগ্রতায় আমি সত্যিই মুগ্ধ। প্রচণ্ড জ্বর নিয়েও সে শুটিং করেছিল। টানা ৩০ ঘণ্টা শুটিংয়ের পরও তার কোনো অভিযোগই ছিল না।’
‘ইয়ারিয়া’ সিনেমা পরিচালনা করলেও সিক্যুয়েলে অভিনয় করছেন দিব্যা। এবার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন রাধিকা রাও ও বিনয় সাঁপুর। দিব্যা যশ ছাড়া এতে আরও অভিনয় করেছেন মিজান জাফরি, পার্ল পুরি, অনুসূয়া রাজন, প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়াসহ প্রমুখ। আগামী ২০ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘ইয়ারিয়া ২’।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org