দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউরোসায়েন্সের জগত নড়েচড়ে উঠতে পারে। এতোদিন জানা গেছে, নার্ভাস সিস্টেম অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিউরন এবং গ্লিয়াল কোষের মাধ্যমে কাজ করে। তাই আলজেইমার রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যাও দেখা দিতো। অবশেষে বিজ্ঞানীরা একটি হাইব্রিড কোষ আবিষ্কার করেন মস্তিষ্কে।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউরোসায়েন্টিস্টদের ধারণা ছিল মস্তিষ্কে নিউরনই কার্য সম্পাদন করে থাকে। সেজন্য গ্লিয়াল কোষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এস্ট্রোসাইট হলো নতুন ধরনের এক গ্লিয়াল কোষ। এটি সিন্যাপসের একেবারে চারপাশ জড়িয়ে রাখে। তবে ন্যাচার জার্নালে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এস্ট্রোসাইট সিন্যাপসের ট্রান্সমিটে সাহায্য করে বিধায় তথ্য প্রসেস করার কাজেও আসে। নতুন প্রতিবেদনেরও এমন দাবি। এই গবেষণা মলিকিউলার বায়োলজি প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হয়। তারা মেশিনারি এমন একটি পদ্ধতি খুঁজছিলেন যার মাধ্যমে গ্লুটামেট নির্গত হয়। নিউরনের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। হাইব্রিড কোষটিকে সফল হতে হলে এই সিনাপটিক ট্রান্সমিশনের সমান গতি পেতে হবে। বিষয়টি আশাদায়ক, কারণ হলো অন্তত আলঝেইমার রোগের চিকিৎসা কিছুটা হলেও সহজতর হবে। তথ্যসূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org