দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাজারের সাধারণ প্রসাধনীর বদলে ঘরোয়া টোটকায় বেশি ভরসা থাকে অনেকের। সেই ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি ফলের খোসার উপর।
শরীর ভালো রাখতে ফল খাওয়ার কোনও বিকল্পও নেই। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে শরীরের ভিতর থেকে তরতাজা রাখতে ফলের ভূমিকা অপরিহার্য। তবে শুধু ফলই নয়, ফলের খোসাও কম উপকারী নয়। বিশেষ করে রূপচর্চায় বেশ কিছু ফলের খোসা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। ত্বকের যত্নে অনেকেই নানা ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে থাকেন। বাজারের সাধারণ প্রসাধনীর বদলে ঘরোয়া টোটকায় বেশি ভরসা থাকে অনেকের। সেই ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন নিন্মোক্ত কয়েকটি ফলের খোসার উপর।
কলার খোসা
কলা খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং তার খোসা মুখে লাগাতে পারেন। এই খোসা শুধুমাত্র আপনার মুখের ট্যানিং দূর করবে না, এই খোসা ব্যবহার করলে ত্বকও টানটান থাকবে। এতে করে মুখের গর্ত বা বড় হয়ে যাওয়া কোষ.অনেকটা মিলিয়ে যাবে। ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ এই খোসা আপনার দাঁতের জেল্লা ফেরাতে ভিষণ উপকারী।
আপেলের খোসা
আপেলের খোসা থাকে ফাইবারে ভরপুর। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে এটি। আপেলের খোসা ভিটামিন সি ও এ সমৃদ্ধ। তাই এটি ত্বকের জন্য ভিষণ উপকারী। এই আপেলের খোসার মধ্যে রয়েছে আরসোলিক অ্যাসিড, যা ক্যালোরি পোড়াতেও সাহায্য করে, স্থূলতার ঝুঁকিও কমায়।
কমলালেবুর খোসা
কমলালেবুতে যে পরিমাণে ভিটামিন বিদ্যমান রয়েছে, তার থেকে প্রায় ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে লেবুর খোসাতে। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং পটাশিয়াম, যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। বিভিন্ন রান্নায় এই খোসা ব্যবহারও করা যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এমনকি হার্টের রোগীদের জন্যও এই খোসা ভিষণ উপকারী। ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও এই খোসার কোনও তুলনা হয় না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org