দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত বছর ‘পরাণ’ এবং ‘হাওয়া’র মুক্তির পর শরিফুল রাজকে নিয়ে হইচই পড়ে যায় ইন্ডাস্ট্রিতে। এবার জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে নতুন একটি সিনেমা নিয়ে হাজির হচ্ছেন শরিফুল রাজ। তার নতুন সিনেমার নাম ‘ওমর’।
শরিফুল রাজ- ঢাকায় চলচ্চিত্রের এক পরিচিত মুখ। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। গত বছর ‘পরাণ’ এবং ‘হাওয়া’র মুক্তির পর শরিফুল রাজকে নিয়ে হইচই পড়ে যায় ইন্ডাস্ট্রিতে। সেই রেশ ধরে রাখতে ‘দামাল’ নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে হাজির হন রাজ। সিনেমাটি ব্যবসায়িক সাফল্য না পেলেও অভিনয় দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
পরিমণির সঙ্গে ব্যক্তিজীবন নিয়ে ধারাবাহিকভাবে খবরের শিরোনাম হওয়া রাজ অভিনয় দিয়ে নজর কাড়লেও নতুন কোনো কাজের খবর এতোদিন দিতেই পারছিলেন না । অবশেষে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটালেন রাজ। চুক্তিবদ্ধ হলেন নতুন সিনেমায়। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালনায় ‘ওমর’ সিনেমায় দেখা যাবে রাজকে।
‘ওমর’ সিনেমায় রাজের অন্তর্ভুক্তির খবর দিয়েছেন ছবিটির নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ। একটি সংবাদ মাধ্যমকে নির্মাতা বলেছেন, ‘ওমর সিনেমার নামভূমিকায় যাকে নির্বাচন করেছি তাঁর সঙ্গে আমার নামের মিলও রয়েছে। আমি রাজ, সেও রাজ- শরিফুল রাজ। ‘ওমর’ সিনেমার ‘ওমর’ হয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হবেন রাজ। আমার নতুন সিনেমার নামভূমিকায় তাঁকে পেয়ে আমি সত্যিই খুশি। সেই সঙ্গে অনেক আশাবাদীও।’
তবে ‘ওমর’ সিনেমায় রাজের বিপরীতে কে থাকছেন তা অবশ্য এখনও জানাননি নির্মাতা। ইতিপূর্বেই এই সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু এবং নাসির উদ্দিন খান। শীঘ্রই শুরু হবে ছবিটির শুটিং। কুমিল্লা, সিলেট, কক্সবাজার, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলবে ‘ওমর’ সিনেমার কাজ। একটানা শুটিং শেষ করে এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি দিতে চাইছেন নির্মাতা। ‘ওমর’ নির্মিত হচ্ছে খোরশেদ আলমের প্রযোজনায় মাস্টার কমিউনিকেশনস এর ব্যানারে। সিদ্দিক আহমেদের চিত্রনাট্যে সিনেমাটোগ্রাফিতে থাকছেন রাজু রাজ। সিনেমাটির সংগীত পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন নাভেদ পারভেজ এবং স্যাভি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org