প্রতিদিন খাবারে বেদানা থাকলে মেদ ঝরাতে বেগ পেতে হবে না

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন ঝরাতে অন্যসব বিষয়গুলোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হলো খাওয়া-দাওয়া। নানা রকম ফলের মধ্যে ওজন ঝরাতে বিশেষভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখে বেদানা। তাই প্রতিদিন এই ফলটি পাতে রাখতেই পারেন।

দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে কম পরিশ্রম করেননি। নিয়মিত ব্যায়াম, শরীরচর্চা, সাইকেল চালানোর মতো পরিশ্রম, হাঁটাহাটি সবই করেছেন। খাবারের বিষয়েও সচেতন হয়েছেন ব্যাপকভাবে। বিরিয়ানির গন্ধ নাকে এলেও রেস্তোরাঁর দিকে ধেয়ে যাচ্ছেন না। বাইরের তেলমশলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলছেন সব সময়। খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফল রাখছেন। তবুও কাঙ্খিত ফল পাচ্ছেন না। পুষ্টিবিদরা বলেছেন, ওজন ঝরাতে অন্য বিষয়গুলোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হলো খাওয়া-দাওয়া। নানা রকম ফলের মধ্যে ওজন ঝরাতে বিশেষভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখে এই বেদানা।

ওজন ঝরাতে কীভাবে সাহায্য করে বেদানা? সেটি জেনে নিন।

Related Post

ক্যালোরির পরিমাণ কম

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কম ক্যালোরির খাবার খেতে হয়। ১০০ গ্রাম বেদানাতে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ৮৩। তাই টুকটাক মুখ চালানোর জন্য এই ফল রাখা যেতে পারে।

ফাইবারের পরিমাণ বেশি

তাছাড়া বেদানা খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কারণ, এই ফলে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। আর অন্ত্র এই ফাইবার থেকেই পুষ্টিগুণ শোষণ করে। বেদানা খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে।

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট

শুধু ওজন ঝরাতেই নয়, সার্বিক সুস্থতার জন্যও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেদানায় পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে।

বিপাকহার

ওজন ঝরাতে হলে বিপাকহার ভালো হওয়া দরকার। বেদানায় যে পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে, তা বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, বেদানায় থাকা পলিফেনল বিপাকহারের উপর যথেষ্ট প্রভাব রাখে।

শরীর আর্দ্র রাখতে

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলে শরীরে টক্সিন জমবে, আর তখন মেদ সহজে ঝরবে না। বেদানায় পানির পরিমাণ অনেকটা বেশি থাকে। তাই বার বার শুধু পানি না খেয়ে শরীরে পানির জোগান দিতে বেদানা খাওয়া যেতেই পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on অক্টোবর ২, ২০২৩ 10:12 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

এসএসসিতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৩ দশমিক…

% দিন আগে

এসএসসি’র ফল প্রকাশ: প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসি’র ফলাফল হস্তান্তর

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং সমমান পরীক্ষার ফল…

% দিন আগে

ছবিতে লুকিয়ে রয়েছে একটি হেডফোন: আপনি কী সেটি খুঁজে বের করতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছবিতে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট সব্জির বাগান। এরমধ্যে কোথা থেকে এসে…

% দিন আগে

সত্যিই এক পাগল করার মতো প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ১২ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান: আবারও বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশীয় সফটওয়্যারে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রত্যয় নিয়ে…

% দিন আগে

কম বয়সেই চুলে পাক ধরছে? এই উপসর্গ কি অন্য শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, কম বয়সে চুলে পাক…

% দিন আগে