দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরর তৃতীয় টার্মিনালের একাংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার সময় উদ্বোধন করেন তিনি। আজ উদ্বোধন হলেও তৃতীয় টার্মিনালে পুরোদমে যাত্রীসেবা পাওয়া যাবে ২০২৪ সালের শেষ দিকে।
সকাল ১০টায় সেখানে উপস্থিত হয়ে পুরো তৃতীয় টার্মিনাল ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। এই সময় চেকিং পয়েন্ট, ইমিগ্রেশন কাউন্টার, প্রি-বোর্ডিং সিকিউরিটি জোন ও বোর্ডিং ব্রিজ ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ যজ্ঞের স্থিরচিত্রও পরিদর্শন করেন তিনি।
বেবিচক জানিয়েছে, তৃতীয় টার্মিনাল ৩ তলা বিশিষ্ট এই টার্মিনালের আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার ও দৈর্ঘ্য ৭০০ মিটার এবং প্রস্থ ২০০ মিটার। এই ভবনটির নকশা করেন রোহানি বাহারিন। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সিপিজি করপোরেশন প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুরের একজন স্থপতি।
পুরোপুরি চালু হলে এর যাত্রীধারণ সক্ষমতা হবে বছরে ১৬ মিলিয়ন। তৃতীয় টার্মিনালের কার পার্কিংয়ে একসঙ্গে এক হাজার ২৩০টি গাড়ি রাখা যাবে। এতে উড়োজাহাজ পার্কিং বে থাকবে ৩৭টি। এই টার্মিনালে আগমনী যাত্রীদের জন্য লাগেজ বেল্ট থাকবে ১৬টি।
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য এক হাজার ৩০০ বর্গমিটার আয়তনের একটি কাস্টম হলও থাকবে। আর সেখানে থাকবে ৬টি চ্যানেল। চেক ইন কাউন্টার থাকবে মোট ১১৫টি, যারমধ্যে স্বয়ংক্রিয় ১৫টি। ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে ১২৮টি। যারমধ্যে স্বয়ংক্রিয় ইমেগ্রেশন কাউন্টার ১৫টি।
এছাড়াও আরও থাকবে বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার ৬৬টি। আগমনী ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে ৫৯টি, ভিভিআইপি ইমিগ্রেশন কাউন্টার ৩টি। এতে বোর্ডিং ব্রিজ থাকবে প্রথম পর্যায়ে ১২টি। পরবর্তীতে সময় সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় আরও ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ যুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
তবে বর্তমান টার্মিনাল ২টির সঙ্গে তৃতীয় টার্মিনালের কোনো সংযোগ থাকবে না। পরবর্তীতে এই প্রকল্পে করিডোর নির্মাণ করা হবে বলে জানা যায়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org