দীর্ঘ পাসওয়ার্ডে কী সুরক্ষা পাওয়া যাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মেইল কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হতে পারে- এমন জটিলতা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। ফিশিং লিংক বাদেও আপনার মোবাইল ফোনে ম্যালওয়ার এলেই হলো। এসবের দায় অনেক সময় মেইল, ফেসবুক কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অনলাইন সার্ভিসের ত্রুটি কিংবা নিরাপত্তা ঘাটতির কারণেও হয়। আবার অনেক সময় আপনার নিজের অসাবধানতাও এরজন্য দায়ি।

আর এই সুযোগে সংঘবদ্ধ চক্র হাতিয়ে নেয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অর্থ। তাই হ্যাকিং থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই দীর্ঘ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন। মেইল সার্ভিসগুলোও আপনাকে একই কথা অর্থাৎ দীর্ঘ পাসওয়ার্ডের কথা বলবে। তবে এই দীর্ঘ পাসওয়ার্ড আপনার কতোটা নিরাপত্তা দিতে পারবে? প্রযুক্তি গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্পেকপস আপনাকে সেই উত্তরই দিয়েছে। আজ জেনে নিন তাদের সেইসব তথ্যগুলো।

তারা মনে করেন, দীর্ঘ পাসওয়ার্ড ছোট পাসওয়ার্ডের চেয়ে বেশি সুরক্ষা দিয়ে থাকে। তবে দীর্ঘ পাসওয়ার্ড হ্যাকড হয়ে যাওয়ারও অনেক ঘটনা দেখা যায়। স্পেকপস সম্প্রতি ৮০ কোটির বেশি হ্যাকড পাসওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা করে। এইসব পাসওয়ার্ডের নানা দিক খতিয়ে দেখা হয়। প্রতিবেদনটিতে দেখা যায় যে, ৮০ কোটির মধ্যে ২১ কোটি ২৫ লাখ পাসওয়ার্ডের ক্যারেক্টরই ছিল ৮টি। এর অর্থ হলো, হ্যাকড হয়ে যাওয়া পাসওয়ার্ডগুলোর প্রায় ৮৫ শতাংশই ১২ ক্যারেক্টরের কম।

Related Post

মাইক্রোসফটের সিস্টেম সফটওয়্যার কিংবা অ্যাকটিভ ডিকশনারিতে ৮ ক্যারেক্টরের পাসওয়ার্ডকে ডিফল্ট পাসওয়ার্ড হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। অর্থাৎ এটি মূলত একটা দুর্বল পাসওয়ার্ড, যা যে কোনো সময় হ্যাকড হতেই পারে। তাই স্পেকপস ১২ ক্যারেক্টরের বেশি দীর্ঘ পাসওয়ার্ডকেই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড মনে করে। তবে এই ধরনের পাসওয়ার্ড খোয়া যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে অনেক বেশি। গবেষণা প্রতিবেদন জানাচ্ছে যে, হ্যাকড হয়ে যাওয়া পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ১২ কোটি ১৫ লাখ পাসওয়ার্ডই ছিল ১২ কিংবা তার বেশি ক্যারেক্টরের। অপরদিকে ১৬ ক্যারেক্টরের বেশি দীর্ঘ হয়েও হ্যাকড হয় প্রায় ৩ কোটি ১১ লাখ পাসওয়ার্ড!

দীর্ঘ পাসওয়ার্ড হ্যাকড হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও সেটি আপনার অ্যাকাউন্টকে এখনও ছোট পাসওয়ার্ডের তুলনায় বেশি সুরক্ষা দেবে। স্পেকপসের জ্যেষ্ঠ্য প্রোডাক্ট ম্যানেজার ড্যারেন জেমস বলেছেন, দীর্ঘ পাসওয়ার্ডই মূলত তুলনামূলকভাবে ভালো। যদিও এটি আইটি বিশেষজ্ঞদের জন্য নতুন কোনো খবর নয়। তবে, দীর্ঘ পাসওয়ার্ড সত্ত্বেও বিভিন্ন ধরনের টোপ (ফিশিং) আপনার সুরক্ষিত ইমেইলে ঢুকে পড়তেই পারে। এটি ব্যবহার করে আপনার পাসওয়ার্ড হ্যাকডও হয়ে যেতে পারে। তথ্যসূত্র : স্পেকপস।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on অক্টোবর ১৯, ২০২৩ 10:58 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: উৎসবমুখর পরিবেশে বেসিস নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেসিস প্রদত্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আনন্দমুখর ও অংশগ্রহণমূলকভাবে…

% দিন আগে

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পূর্বেই ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন একটি ঘটেছে সৌদি আরবে। ছেলেকে হত্যার জন্য বিচারপ্রার্থী ছিলেন…

% দিন আগে

বেসিস নির্বাচন ২০২৪-২০২৬: পূর্ণাঙ্গ ফলাফল জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার…

% দিন আগে

সমুদ্রের মধ্যেও পাহাড়!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

ডায়েটে প্রতিদিন সকালে অ্যাপর সাইডার ভিনেগার খাচ্ছেন? বেশি মাত্রায় খেলে কী ধরনের বিপদ হতে পারে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই দিনে ২ থেকে ৩ বার এই…

% দিন আগে

ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপের গ্লোবাল রাউন্ডে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আঞ্চলিক রাউন্ডে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায় ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপের গ্লোবাল রাউন্ডের…

% দিন আগে