দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুর্গাপূজায় মণ্ডপের মন্ডপে কেবল পূজা অর্চনাই চলে না, বাজে পূজার নানা গানও। প্রতি বছরই পূজার নতুন গান প্রকাশে মুখিয়ে থাকেন শিল্পীরা। এবারের দুর্গা পূজাতেও তাই নতুন গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন সংগীত শিল্পী শিলা দেবী।
সিলন সুপার সিঙ্গার খ্যাত এই শিল্পী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজার আনন্দ খানিকটা বাড়িয়ে দিতে ‘হে ভবানী‘ এবং ‘আশ্বিনে এলো দুর্গা‘ শিরোনামে দুইটি গান গাইলেন তিনি। গান দুটোর দৃশ্যায়ণও সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই প্রকাশ পাবে এই গান দুটি।
‘হে ভবানী’ গানটি প্রকাশ করা হবে কণ্ঠশিল্পীর নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘শিলা দেবী’ তে। তাছাড়াও অনলাইন বিভিন্ন প্লাটফর্মে গান দুটি মুক্তি দেওয়া হবে। এই গানটির কথা লিখেছেন জয়ন্ত কর্মকার। তিনি নিজেই মিউজিক ভিডিওটিও পরিচালনা করেন। আর মিউজিক করেছেন সুমন কল্যাণ।
ওই গান ছাড়াও সংগীতশিল্পী শিলা দেবীর আরও একটি গান আসছে এবারের পূজায়। ‘আশ্বিনে এলো দুর্গা’ শিরোনামের এই গানটিতে আরও গেয়েছেন সংগীতশিল্পী পুলক অধিকারী এবং চম্পা বণিক। হীরেন্দ্রনাথ মৃধার লেখা গানটির সুর করেছেন পুলক অধিকারী ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন রাজন সাহা।
এই গান দুটি সম্পর্কে সংগীত শিল্পী শিলা দেবী জানান, ‘উৎসব মানেই আনন্দ, আর সেটি উদযাপনের নানা আয়োজন। বাঙালি জীবনে এর মাত্রা আরও অনেক বেশি। কেবল ধর্মীয় উৎসবে সীমাবদ্ধ থাকেনি পূজা। বরং ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মন্ডপে মণ্ডপে পূজার নানা আয়োজনের শামিল হন সকলেই। দেবীর কাছে ভক্তের যতো আহবান বা আকুতি, সবকিছুই উঠে এসেছে গান দুটির কথায়। চেষ্টা ছিলো ভালোভাবে গাইতে। গান দু’টি নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org