দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অক্টোবর মাসের শেষ দিনে মৃতদের স্মরণে পালিত হয়ে থাকে হ্যালোইন। হ্যালোইন শব্দটি শুনলেই গা ছমছম ভাব হয়। হ্যালোইনকে সামনে রেখেই বিভিন্ন দেশেই হয় নানা আয়োজন। এবার বাংলাদেশেও হ্যালোইন হবে এক রহস্যময়। ভয় এর রাজ্য কায়েম করতেই এলো ৫ পর্বের সিরিজ ‘প্রচলিত’।
হ্যালোইনকে আরও রহস্যময় করে তুলতে নির্মিত হয়েছে হরর সিরিজ ‘প্রচলিত’। আবিদ মল্লিকের পরিচালনায় ৫ পর্বের সিরিজটির প্রচার শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার থেকে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে প্রতি বৃহস্পতিবার মুক্তি পাবে নতুন পর্ব। সমাজে প্রচলিত কিংবা প্রবাদ বাক্য অর্থাৎ যেসব কথা লোকমুখে প্রচারিত হয়ে তাকে, সেগুলো নিয়ে এগিয়েছে সিরিজটির কাহিনী। এই সিরিজটিতে মোট ৫টি পর্ব রয়েছে। ফোন বন্ধ থাকলেও কেনো কল আসছে? ফোনে কে কল দিচ্ছে? কী চাইছে? ১৯ অক্টোবর ‘প্রচলিত’-র প্রথম পর্ব ‘রিংটোন’ প্রচারিত হয়েছে। ২৫ মিনিটের এই পর্বে দেখা যায় মোস্তফা মন্ওয়ার এবং অশোক বেপারীকে।
সিরিজে নিজের চরিত্রটি সম্পর্কে মোস্তফা মন্ওয়ার বলেছেন, ‘এক রাতের গল্প, চরিত্রটি খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। একটা অপকর্মের পর থেকে ওই চরিত্রটি এক ধরনের ট্রমার মধ্যেদিয়ে যায়। এটা ফুটিয়ে তোলার জন্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। ট্রমা, তারপর শারীরিক কসরত (দৌড়াদৌড়ি, ছুটোছুটি) সব কিছু করাটাই শারীরিকভাবে আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। সকালে যখন শুটিং প্যাকআপ হলো তখন মোটামুটি অর্ধচেতন অবস্থা। গল্পের মধ্যে ওই চরিত্রটির যে অবস্থা হয়েছে, বাস্তবেও আমার একই অবস্থা দাঁড়িয়েছিল।’
জানানো হয়েছে, এই সিরিজের বাকি পর্বগুলোর নাম রাখা হয়েছে- ‘বিলাই’, ‘বেওয়ারিশ’, ‘কলিংবেল’ এবং ‘হাতবদল’। বিভিন্ন পর্বে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, সাদিয়া আয়মান, বায়োজিদ হক জোয়ার্দার, মাহমুদ আলম, রফিউল কাদের রুবেল, তনয় বিশ্বাস, ফারিন খান প্রমুখ।
এ বছরের জুলাই-আগস্টে সিরিজটির শুটিং করা হয় ঢাকা, মানিকগঞ্জ এবং সাভারের বিভিন্ন লোকেশনে। এই সিরিজটির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন রাজু রাজ। মিউজিক এবং ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করেছেন খৈয়াম সানু সন্ধি। সম্পাদনার কাজটি করেন সবুজ শেখ। আর কালার গ্রেডিং-এ ছিলেন আশরাফুল আলম এবং সাউন্ড ডিজাইন করেন রিপন নাথ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org