দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাবিলা বিনতে ইসলাম এবার পা রাখতে যাচ্ছেন বড় পর্দায়। প্রথমবার সিনেমায় কাজ করছেন নাবিলা।
সরকারি অনুদানের নির্মিতব্য ‘যুদ্ধ জীবন’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী নাবিলা। প্রথম সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে। ‘যুদ্ধ জীবন’ সিনেমাটি নির্মাণ করছেন রিফাত মোস্তফা টিনা।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে শুরু হলো সিনেমাটির প্রথম অংশের শুটিং। এতে অংশ নেন ফেরদৌস ও নাবিলা। চট্টগ্রামের মেয়ে নাবিলার চট্টগ্রাম থেকে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু হওয়াতে ভীষণ উচ্ছ্বসিত হয়েছেন। একটি গণমাধ্যমকে অভিনেত্রী বলেছেন, এটি তার জীবনের প্রথম সিনেমা। শুটিং শুরু করলাম জন্মশহরেই, তাই আনন্দটা অনেকটাই বেশি। শুটিংও হচ্ছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন লোকেশনে- সব মিলিয়ে আমার মধ্যে রোমাঞ্চটা বেশিই কাজ করছে।’
প্রথম সিনেমাতে সহশিল্পী হিসেবে নায়ক ফেরদৌসকে পেয়ে নাবিলা বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টি ছবি দেখেই ভাইয়ার (ফেরদৌস) ভক্ত আমি। ভাবিনি কখনও তাঁরসঙ্গে বড় পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পাবো। সময় আমাকে সেখানেই দাঁড় করিয়েছে। তাঁর মতো একজন সহশিল্পীকে জীবনের প্রথম ছবিতে পাওয়াটা ভীষণ ভীষণ ভালো লাগার বিষয। অনেক কিছু শিখতে পারছি।’
সিনেমায় নিজের চরিত্র সম্পর্কে নাবিলা বলেন, ‘মাস তিনেক আগে আমাকে ছবিটির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো। বড় পর্দায় অভিনয়ের জন্য একটা জুতসই গল্পের সন্ধানেই ছিলাম। ফাইনালি যেমনটা চেয়েছিলাম- তেমনই পেয়েছি। গল্প, চরিত্র, সহশিল্পী- সব মিলিয়ে আমার জন্য যাকে বলে একেবারে সোনায় সোহাগা। আমি কাজ করে ভীষণ আনন্দ পাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ‘যুদ্ধ জীবন’ সিনেমাটি অধ্যাপক ড. শিরীন আক্তার রচিত সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে। সিনেমাটির চিত্রনাট্য করেছেন মহি মহিউদ্দিন। আগামী নভেম্বরে সিনেমার দ্বিতীয় অংশের কাজ শুরু হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org