দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে অনেক সময় মুখে অরুচিও চলে আসে। কী করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাবে শিশুরা? আজ জেনে নিন কয়েকটি বিষয়।
অনেক সময় মায়েরা অভিযোগ করেন তাদের শিশুরা নাকি কিছুই খেতে চায় না। ভালো-মন্দ খাবার বানিয়ে দিলেও কিছুই মুখে তুলতে চান না শিশু। চিকিৎসকরা বলেন, শিশুরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে অনেক সময় মুখে অরুচি চলে আসে। সপ্তাহে ৩ বারের কম মল ত্যাগ করলে বা তাদের পেট ব্যথা হলে বুঝতে হবে আপনার শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন। কী করলে এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে নিষ্কৃতি পাবেন?
# শিশুর পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। শরীরে পানির ঘাটতি হলেও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকে শিশুরা। তাই শিশুর পানি খাওয়ার বিষয়টি নজরে রাখতে হবে।
# শিশুকে ফাইবার সমৃদ্ধ শাক-সব্জি এবং ফল-মুল বেশি করে খাওয়াতে তবে। কলা, দই, স্ট্রবেরি, চিয়াবীজ মিক্সিতে ঘুরিয়ে শিশুকে খাওয়াতে হবে, এতে উপকার পাবেন।
# রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় ১/২ চা চামচ ঘি’র সঙ্গে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়ালেও উপকার পাবেন।
# রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে পেটের উপর ডান দিক থেকে বাঁ দিক, এই অভিমুখে হিং মাখালেও শিশুদের গ্যাস সমস্যা থেকে রেহাই হতে পারে।
# সেদ্ধ করা খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে।
# চিপ্স, ভাজাভুজি এবং মিষ্টির পরিমাণ কমিয়ে বাড়িতে তৈরি করা হালকা টাটকা খাবার খাওয়ালে শিশুরা উপকার পাবে।
# শিশুদের বেশির ভাগ সময় কাটে বাড়িতেই। চেষ্টা করুন শিশুকে বাইরে খেলতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মুঠোফোন নির্ভর না হয়ে বাইরে গিয়ে খেলাধূলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
প্রত্যেক শিশুর খাওয়ার ধরনই আলাদা ধরনের হয়ে থাকে। তাই খাদ্যাভ্যাসে কোনও রকম বদল আনার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া উচিত। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org