দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফোন ভারতে তৈরি হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিগত কয়েক বছরে নানা জল্পনাকল্পনা চলে আসছে। এবার শোনা গেলো আইফোন তৈরি করবে টাটা। অ্যাপলের সঙ্গে চুক্তিও নাকি হয়েছে।
স্মার্টফোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতো কোম্পানিগুলো, সেই চীনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তারা। এই তালিকায় বড় নাম হলো অ্যাপল। সম্প্রতি ভারতে টাটা গ্রুপের সঙ্গে বড় চুক্তি করেছে আইফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা Wistron।
কিছুদিন আগে বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়, ভারতে আইফোন বানাবে টাটা গ্রুপ। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, আইফোন বানাবে টাটা গ্রুপ ও সেটি ভারত তথা বিশ্ব বাজারে বিক্রি হবে।
স্বাভাবিকভাবে যে দেশে ফোন বানানো হয়ে থাকে, সেই দেশের নাম থাকে ফোনের পেছনেই। এতোদিন মেড ইন চায়না ফোন দেখে আসছিলো ভারতীয়রা। তবে খুব শীঘ্রই সেই দৃশ্য বদলাতে যাচ্ছে। আইফোনের মতো বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় একটি স্মার্টফোনের পেছনে লেখা থাকবে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, ‘পিএলআই স্কিমের অধীনে স্মার্টফোন উৎপাদন ও রফতানির ক্ষেত্রে ভারতকে একটি বিশস্ত এবং প্রধান কেন্দ্রে পরিণত করেছে। আগামী দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে ভারতে আইফোন তৈরি শুরু করবে টাটা গ্রুপ।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ভারতে অনেক দিন ধরে আইফোন অ্যাসেম্বেল করছে Wistron। তাদেরই সেই কারখানা অধিগ্রহণ করতে চলেছে টাটা গ্রুপ। দুই কোম্পানির মধ্যে প্রায় ১০৪০ কোটি টাকার চুক্তি ফাইনাল করা হয়েছে। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ভারতে আইফোন বানানো শুরু করবে টাটা গ্রুপ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org