দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ও অন্যতম জনপ্রিয় ফোনগুলোর একটি ফোন হলো আইফোন। অনেকের স্বপ্ন থাকে একটি আইফোন ব্যবহারের। অনেকেই আবার এটিকে সামাজিক অবস্থান কিংবা স্ট্যাটাসের প্রতীকও মনে করেন। এবার সুখবর এলো আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য।
এবার ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ এক সুখবর দিল আইফোন। নেটওয়ার্ক নেই এমন এলাকায়ও টেক্সট মেসেজ পাঠানো এবং গ্রহণ করা যাবে আইফোনে! স্টারলিঙ্কের স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই ফিচারটি সম্ভব হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি অ্যাপল জানিয়েছে যে, নতুন আইওএস ১৮.৩ আপডেটের অংশ হিসেবে স্টারলিঙ্কের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অত্যাধুনিক এই ফিচারটি সম্ভব হয়েছে। স্পেসএক্সের ডাইরেক্ট-টু-সেল স্যাটেলাইট পরিষেবাটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে আইফোনে।
বর্তমানে স্পেসএক্সের ডাইরেক্ট-টু-সেল স্যাটেলাইট পরিষেবা বিটা পরীক্ষা পর্যায়ে রয়েছে। ডিসেম্বরে এটির সাইনআপ শুরু হয়েছে। বর্তমানে এই পরিষেবাটি অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ভার্সন সাপোর্টেড কিছু নির্বাচিত স্মার্টফোনের জন্য সম্ভব হচ্ছে। যারমধ্যে রয়েছে স্যামসাং জেড ফোল্ড ও এস২৪ এর মতো মডেলগুলোও।
জানা যায়, এটি শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমিত সংখ্যক টি-মোবাইল গ্রাহকদের দ্বারা অ্যাক্সেস করা সম্ভব।
জানা গেছে, যারা বিটা পরীক্ষার জন্য সাইন আপ করেছেন, তারা শীঘ্রই এই নোটিফিকেশন পাবেন যে, আপনি এখন কার্যত যে কোনো জায়গা থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টেক্সটিংয়ের মাধ্যমেই সংযুক্ত থাকতে পারবেন।
আইফোন ব্যবহারকারীদের কভারেজের বাইরেও এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য আইওএস ১৮.৩ সফটওয়্যার আপডেট করতে হবে। আপডেটটি ডাউনলোড করার পর ব্যবহারকারীরা তাদের সেলুলার ডেটা সেটিংসে এই বৈশিষ্ট্যটি সক্রিয় করার জন্য তখন একটি অপশন খুঁজে পাবেন। ভবিষ্যতে এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, ভয়েস এবং ডেটা সংযোগ অন্তর্ভুক্ত করে এই পরিষেবাটি সম্প্রসারণ করা।
এই ফিচারটির সুবিধা হলো- দুর্গম এলাকায় থেকেও যে কোনো পরিস্থিতিতে মেসেজ পাঠানো সম্ভব। তাই দ্রুত ব্যবহারকারীদের নতুন এই সফটওয়্যারটি আপডেট করতে বলেছে আইফোন কর্তৃপক্ষ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org