দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপলের নতুন আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে থাকা সবচেয়ে বেশি আলোচিত ‘লিকুইড গ্লাস’ সুবিধার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজেদের অ্যাপে নতুন ইন্টারফেস যুক্ত করতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ।

নতুন এই সুবিধা চালু হলে আইফোন ব্যবহারকারীরা স্বচ্ছন্দেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। কাচের মতো স্বচ্ছ এবং আলোর প্রতিফলনের মিশেলে তৈরি এই ইন্টারফেসকে হোয়াটসঅ্যাপের সাম্প্রতিক বছরগুলোর সবচেয়ে বড় দৃশ্যগত পরিবর্তন হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।
অ্যাপলের লিকুইড গ্লাস সুবিধায় ব্যবহার করা হয়েছে রিয়েল টাইম রেন্ডারিং এবং ডায়নামিক রিঅ্যাকশন মুভমেন্ট প্রযুক্তি, যা ব্যবহারকারীর নড়াচড়া এবং আলোর প্রতিফলন অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়ে থাকে। যে কারণে পর্দায় আলো, ছায়া এবং গতির বাস্তব অনুভূতি তৈরি হয়, যা অ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকেই আরও স্বাভাবিক করে তোলে। কনটেক্সট মেনুর নকশাও নতুনকরে সাজানো হয়েছে। তাই ব্যবহারকারী যখন আইফোনের পর্দায় স্পর্শ করেন, তখন পর্দায় থাকা উপাদানগুলো দ্রুতই সাড়া দেয়। বিষয়টি মাথায় রেখেই লিকুইড গ্লাস সুবিধার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজেদের অ্যাপে নতুন ইন্টারফেস যুক্ত করতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের তথ্যমতে, উন্নত গ্রাফিকস এবং রেন্ডারিং প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে নতুন এই ইন্টারফেসটি তৈরি করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের আইওএস ২৫. ২৮. ৭৫ সংস্করণে এই সুবিধাটি ব্যবহার করা যাবে।
এই বিষয়ে ডব্লিউএবেটাইনফো জানিয়েছে যে, নতুন ইন্টারফেসে রিফ্লেকটিভ প্রোপারটিক এবং রিভ্যামড সিস্টেম কি-বোর্ডও যুক্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে অ্যাপজুড়ে থাকা বাটনের নতুনভাবে নকশাও করা হয়েছে, যেগুলো স্পর্শের সঙ্গে সঙ্গেই ফ্লুইডের মতো অ্যানিমেশনে সাড়া দেয়। বর্তমানে সীমিতসংখ্যক আইফোন ব্যবহারকারীর জন্য এটি পরীক্ষামূলকভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
ডব্লিউএবেটাইনফোর তথ্যমতে, লিকুইড গ্লাস ইন্টারফেসটি সেপ্টেম্বর মাস হতেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার কথা ছিল। এবার সুবিধাটি সীমিতভাবে প্রকাশ করা হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুবিধাটি সবার জন্যই উন্মুক্ত করা হতে পারে বলে জানা গেছে। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org