দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরোক্ষ কারণও হলো এই চিনি খাওয়ার অভ্যাস। এক মাসের জন্য ডায়েট থেকে চিনি বাদ দিলেই শরীরে একাধিক বদল লক্ষ করা যাবে শরীরে।
মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন না এমন লোক অবশ্য কমই আছেন। সরাসরি মিষ্টি না খেলেও বিভিন্ন খাবারের সঙ্গেও চিনি ঢোকে শরীরে। অনেকেই, বিশেষ করে যারা সচেতনভাবে চিনি ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কেও ওজন কমানোর ইচ্ছায়, কেও আবার ডায়াবেটিসের ভয়ে চিনি খাওয়া কমিয়েছেন। কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, ঘুমের ঘাটতি, অত্যাধিক মানসিক চাপের কারণে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে একাধিক রোগব্যাধি। স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরও একটি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কারণ হলো চিনি খাওয়ার অভ্যাস। এক মাসের জন্য ডায়েট থেকে চিনি কিংবা মিষ্টিজাতীয় কোনও খাবার বাদ দিলেই শরীরে একাধিক বদল লক্ষ করা যাবে শরীরে।
# দুর্গাপূজায় প্রচুর মিষ্টি খেয়ে দু’চার কেজি ওজন বেড়ে গেছে? কীভাবে ওজন কমাবেন, সেই চিন্তা ঘুরছে মাথায়? এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে দেখতে পারেন। মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং চিনি খেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি চলে যায়। সেটিই মূলত ওজন বাড়ার অন্যতম একটি কারণ। চিনি খাওয়া বন্ধ করলেই ওজন দ্রুত কমে যাবে।
# অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। চিনি কম খেলে ঘুম ভালো হয়। তবে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে অনিদ্রার সমস্যাও দূর হয়।
# কাজের প্রতি অনীহা আসে অনেক সময়। তখন শরীরে শক্তির অভাব হয়। এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখতে পারেন- এতে শরীরে স্ফূর্তি বাড়বে। আবার বাড়বে কর্মক্ষমতাও।
# বেশি চিনি খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে হলে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। লিভারের রোগ ঠেকাতেও পুষ্টিবিদরা চিনি খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
# আবার বাতের ব্যথা থেকে রেহাই পেতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চিনি খেলেই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়তে থাকে, তাই যাদের বাতের ব্যথা রয়েছে তারা এক মাস চিনি না খেলেই এর তফাতটা বুঝতে পারবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org