দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গায়িকা লিহাত লেমিস ‘অগ্নি’ সিনেমার টাইটেল গানটি গেয়ে আলোচনায় আসেন। তারপর বেশকিছু সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেছেন। কণ্ঠ দিয়েছেন বিভিন্ন মিশ্র অ্যালবামেও। তবে বিয়ে, সন্তান জন্মসহ নানা কারণে গান থেকে বিরত ছিলেন। আবারও গানে সরব হলেন লেমিস।
লেমিস জানিয়েছেন, একক অ্যালবাম করার ইচ্ছা রয়েছে তার। অ্যালবাম প্রকাশের রীতি যদিও বর্তমানে নেই। তারপরেও স্রোতের বিপরীতে গিয়ে নিজের ইচ্ছা এবং স্বপ্ন পূরণের জন্য একক অ্যালবাম তিনি প্রকাশ করবেন। ইতিমধ্যে কয়েকটি গান রেকর্ডও করেছেন। যারমধ্যে গানগুলোর সুর এবং সংগীত করেছেন শফিক তুহিনসহ অনেকেই।
লেমিস আরও বলেন, মধ্যে লম্বা বিরতিতেই ছিলাম। তবে এখন আবারও গানে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। দেশ-বিদেশে শোতেও অংশগ্রহণ করছি। নতুন গানও করছি। এই গায়িকা বলেন, আমার ইচ্ছা ৭-৮টি গান নিয়ে একটি অ্যালবাম করবো। কয়েকটি গান তৈরিও আছে। আবার কয়েকটি তৈরিও হচ্ছে। আলাদা কথা-সুরের কিছু গানও করেছি। আমার কণ্ঠের সঙ্গে যায় সেভাবেই গানগুলো করা হবে। আশা করছি এই বছরের মধ্যেই এই গানগুলো কাজ শেষ করতে পারবো।
লেমিস আরও জানালেন, প্লে-ব্যাকের প্রস্তাবও আসছে। সেইক্ষেত্রে একটু বেছে কাজ করতে চান তিনি। লেমিস বলেন, অডিও হোক কিংবা প্লে-ব্যাকেই হোক এবার একটু বেছে কাজ করতে চাই। সব ধরনের কাজ আমি করতে চাই না। সামনের সময়টা আমি এভাবেই পথ চলতে চাই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org