দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২ উপস্থাপনের জন্য ২৩তম আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারের তিনটি (তিনটি ভিন্ন বিভাগে) অর্জন করেছে বিএটি বাংলাদেশ। ২০১৬ সাল থেকে এ নিয়ে আটবারের মতো এ স্বীকৃতি পেল প্রতিষ্ঠানটি।
এই বছর বিএটি বাংলাদেশ ৩টি শ্রেণিতে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার অর্জন করেছে; যথাক্রমে ম্যানুফ্যাকচারিং (প্রথম স্থান), করপোরেট গভর্নেন্স ডিসক্লোজার (তৃতীয় স্থান) ও ইন্টিগ্রেটেড রিপোর্ট (সার্টিফিকেট অব মেরিট)। ‘কাউন্সিল আইসিএবি’র ‘পাবলিশড অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড রিপোর্টস’ (আরসিপিএআর) -এর পর্যালোচনা কমিটির স্বাধীন মূল্যায়ন ও জুরি বোর্ডের যথাযথ সুপারিশের ভিত্তিতে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়।
এই পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকায় এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
পাশাপাশি, অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের সম্মানিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
অনন্য এই অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীনের হাতে পুরস্কার হিসেবে ট্রফি ও মেরিট সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর প্রফেসর এম. হারুনুর রশিদ, পিএইচডি; হেড অব লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স সুদেশ পিটার ও হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আজিজুর রহমান সহ বিএটি বাংলাদেশের লিডারশিপ টিমের অন্যান্য সদস্যরা।
বিএটি বাংলাদেশের হেড অব লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স সুদেশ পিটার বলেন, “সকল অংশীদারদের জন্য টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানে সর্বোত্তম সুশাসন নিশ্চিত করাকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করি। আটবারের মতো আইসিএবি পুরস্কার অর্জন সুশাসনের প্রতি আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকেই তুলে ধরে। দায়িত্বশীল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে ১১৩ বছর ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিএটি বাংলাদেশ। সুশাসনের সর্বোচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখা কার্যক্রম পরিচালনা করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিএটি বাংলাদেশ তাদের দৃষ্টান্তমূলক নীতি গ্রহণের জন্য সুপরিচিত। বিএটি বাংলাদেশ ব্যবসার প্রতিটি ধাপে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ নিশ্চিত করে এ দেশে প্রচলিত আইন মেনে সুনামের সাথে গত ১১৩ বছর ধরে এ ভূখণ্ডে ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on নভেম্বর ১, ২০২৩ 5:01 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…