দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এখন থেকে ডিউক অব এডিনবরো’স অ্যাওয়ার্ডে অংশ নিতে পারবে গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ১৪ থেকে ২৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরাও।
দেশের তরুণদের উন্নয়ন আরও বিকশিত করতে যুগোপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে সম্প্রতি দ্য ডিউক অব এডিনবরো’স অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সঙ্গে ‘অ্যাওয়ার্ড সেন্টার সাব-লাইসেন্স’ চুক্তি সই করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
চুক্তিতে স্কুলের পক্ষে সই করেন এসটিএস ক্যাপিটাল লিমিটেডের হেড অব অপারেশনস জাহাঙ্গীর কবির রাসেল এবং দ্য ডিউক অব এডিনবরো’স অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অনারারি সেক্রেটারি রিজওয়ান বিন ফারুক।
দ্য ডিউক অব এডিনবরো’স ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম মূলত ১৪-২৪ বছর বয়সী তরুণদের উপযোগী আত্ম-উন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম। ‘হিজ রয়্যাল হাইনেস’ দ্য ডিউক অব এডিনবরো প্রিন্স ফিলিপ ১৯৫৬ সালে এই পুরস্কারটি চালু করেন। বর্তমানে এটি, ১৩১ দেশেচালু রয়েছে। বিশ্বব্যাপী ১ কোটিরও বেশি তরুণ এই পুরস্কার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। ব্যক্তিগত উন্নয়ন এবং চ্যালেঞ্জের সমন্বয়ে চালু করা এই অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামটি ৩টি পর্যায় (লেভেল) এবং চারটি (সেকশন) বিভাগে বিভক্ত। ১৪ বছর বয়সীদের জন্য ব্রোঞ্জ লেভেল, যেখানে তাদের দুই দিন এবং এক রাতের জন্য দুঃসাহসী অভিযানে অংশ নিতে হয়। এছাড়াও, ১৫ বছর বয়সীদের জন্য রয়েছে সিলভার লেভেল, যেখানে তারা ৩ দিন ও ২ রাতের জন্য দুঃসাহসী অভিযানে অংশ নেয়। সেইসঙ্গে, ১৬ বছর বয়সীদের জন্য রয়েছে গোল্ড লেভেল, যেখানে তাদের ৪ দিন ও ৩ রাতের জন্য দুঃসাহসী অভিযানে অংশ নিতে হয়। অপরদিকে, গোল্ড অ্যাওয়ার্ডে অংশগ্রহণকারীদের কোনোভাবেই ৫ দিন ও ৪ রাতের কম নয়, এমন একটি গোল্ড রেসিডেনসিয়াল প্রজেক্টে অংশ নিতে হয়। সেইসঙ্গে, তাদের সামগ্রিক সুস্বাস্থ্য এবং শিক্ষায় উৎসাহী করে তুলতে প্রোগ্রামটি বেশ কয়েকটি সেকশনে ভাগ করা হয়। যেমন- অ্যাওয়ার্ডের ফিজিক্যাল রিক্রিয়েশন সেকশনে সুস্বাস্থ্য এবং ফিটনেস নিশ্চিতে প্রতিযোগীদের খেলাধুলা ও অন্যান্য শারীরিক কার্যক্রমের প্রতি আগ্রহী করে তোলা হয়। এই সমস্ত শারীরিক প্রশিক্ষণের মধ্যে বল-জাতীয় খেলা, অ্যাথলেটিকস, ওয়াটার স্পোর্টস এবং অন্যান্য খেলাধুলা রয়েছে। পুরস্কারের স্কিলস সেকশনে ব্যক্তিগত আগ্রহের উন্নয়ন এবং মিউজিক, আর্টস, কমিউনিকেশন কিংবা এরকম আরও নানান সৃজনশীলতা বা ব্যবহারিক দক্ষতার বিষয়গুলো রয়েছে।
এখানে শিশুদের স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমের জন্য উৎসাহিত করা হয়, যেনো তারা মানুষের কল্যাণে স্বতঃস্ফুর্তভাবে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এখানে শিশুরা নিজেদের চেনা গণ্ডি পেরিয়ে পাহাড়, বন, নদী-ঝর্ণা কিংবা এরকম প্রাকৃতিক পরিবেশে দুঃসাহসী অভিযানে অংশ নেয়। যে কারণে শিশুরা হাতে-কলমে শেখার মধ্যদিয়ে সামগ্রিকভাবে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়।
পুরো প্রোগ্রামটিতে শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে থাকে। এটি তাদের অন্যের নির্ধারণ করা নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলার বিপরীতে নিজস্ব প্রতিযোগিতার বিষয়ে আগ্রহীও করে তোলে। এর মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদের অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম ডিজাইন করে, লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং নিজেদের উন্নতির রেকর্ড রাখে। এতে করে তরুণরা তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে জানার সুযোগ পায়, কমিনিটিতে ইতিবাচক প্রভাবও রাখতে পারে। এছাড়াও, আনন্দের পাশাপাশি, জীবনমুখী দক্ষতারও বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়।
এই বিষয়ে গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ রমেশ মুডগাল বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি শিক্ষার্থীরা দ্য ডিউক অব এডিনবরো’স ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। এটি এমন একটি অভিজ্ঞতা যার মাধ্যম হতে তরুণরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে; যা তাদের জীবনমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করার মধ্যদিয়ে বাস্তব বিশ্বে এগিয়ে রাখতে সহায়তা করে। আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য সেরাটি নিশ্চিত করতে দ্য ডিউক অব এডিনবরো’স অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’প্যাড এখন সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তবে সময়ই বলে দেবে আসলে কি ঘটতে চলেছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on নভেম্বর ২, ২০২৩ 4:27 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসলামিক সঙ্গীত জগতে এক নয়াদিগন্তের সূচনা করলেন হোসাইন নূর। তার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দু’টি কচ্ছপ নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছেন এক তরুণী। কচ্ছপ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৭ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিটনেস প্রশিক্ষকরা বলেছেন, হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো, জগিং, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় একযুগেরও বেশি সময় পর মৌলিক গান নিয়ে মিউজিক ডোমেইনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের…