দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘নমস্কার ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ইজ ব্যাক’ এমন ক্যাপশনে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘ইন্ডিয়ান-২’র টিজার। দীর্ঘ ২৭ বছরের প্রতীক্ষার পর মুক্তি পেলো কমল হাসানের ‘ইন্ডিয়ান-২’র টিজারটি।
টিজার দেখেই ভক্তরা রীতিমতো চমকে উঠেছেন। কেনোনা এতে চেনা যাচ্ছে না এই প্রিয় অভিনেতাকে। সেইসঙ্গে একাধিক নামী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ঝলকও দেখা যায় টিজারে।
দীর্ঘদিন যাবত ভক্তরা তাকিয়ে ছিলেন কমল হাসান কবে ইন্ডিয়ান নিয়ে পর্দায় ফিরবেন সে দিকে। এবার এই টিজার মুক্তির পর উৎফুল্ল তারা। Lyca প্রোডাকশন এক্স হ্যান্ডেলে শুক্রবার একটি টিজার প্রকাশ করেছে। ২ মিনিটের থেকে সামান্য কম দৃশ্য দেখা গেছে এটিতে।
ছবির টিজারে কমল হাসানের ডাই হার্ট ফ্যানরাও তাকে নির্দিষ্ট করে যেনো চিনতে পারবেন না। ধূসর চুল ও গোঁফ- যেনো অন্য এক মানুষ। দৃশ্যে তিনি বলছেন, ‘যেখানে যাওয়ার হবে আমি যাবো, হিন্দুস্থানের মৃত্যু হবে না।’
২০১৯ সালে শুরু হয় ইন্ডিয়ান-২ এর শ্যুটিং। তবে ২০২০ সালে শ্যুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো একটি দুর্ঘটনার জন্য। শ্যুটিং চলাকালীন একটি ক্রেন ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের ও আহত হন ১০ জন।
এদিকে টিজার নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে ভারতসহ পুরো বিনোদন দুনিয়ায়। শুধু তা-ই নয়, ট্রেলার শেয়ার করেছেন রজনীকান্ত। তিনি লিখেছেন যে, ইন্ডিয়ান ইজ ব্যাক, প্রেজেন্টিং ইন্ডিয়ান-২ অ্যান ইন্ট্রো। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় এই ছবিটি। প্রথম ছবির থেকেও দ্বিতীয় ছবি ভালো হতে যাচ্ছে, এমনটিই মতামত দিয়েছেন নেটিজেনরা।
দেখুন টিজারটি
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org