পটল খেতেই চান না অনেকেই: কিন্তু এই সব্জির গুণাগুণ শুনলে বিস্মিত হবেন!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পটল খেতেই চান না অনেকেই। ফালতু সব্জি হিসেবেই গণ্য করেন। কিন্তু এই সব্জির গুণাগুণ শুনলে আপনি নিজেও বিস্মিত হবেন!

বাজারে যেসব সব্জি পাওয়া যায় সেগুলোর কিছু না কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছেই। সেইসব সব্জির মধ্যে শীতের সব্জি বিট, গাজর, ব্রক‌োলি রয়েছে। তেমন রয়েছে পটলও।

পটলের দোরমা খেতে ভালোবাসেন, এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। আবার পটলের নাম শুনলে তেলে বেগুনে জ্বলতে থাকা মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। তবে বাজারে যেসব সব্জি পাওয়া যায়, সেগুলোর কিছু না কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছেই। তবে বিজ্ঞান কিন্তু বলছে উল্টোটা।

Related Post

এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, বিভিন্ন রকম ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর পটল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে পটলে। এছাড়াও, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, পটাশিয়াম ও গন্ধকের মতো খনিজও রয়েছে এই সব্জিতে। তাই একেবারে সেদ্ধ না খেতে ভালো না লাগলে ঝোল, তরকারি, দোলমা বা মিষ্টি কোনও পদে পটল খাওয়াই যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে

পটলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফাইবার পাচনতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং মল নির্গমনে সহায়তা করে। যে কারণে পটল যেমন একদিকে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে, তেমন অপরদিকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

পটলের বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি এক দিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যেমন সাহায্য করে, অপরদিকে জারণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বিভিন্ন ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিকেলের ক্রিয়া থেকেও দেহকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বিশেষত: মৌসুম বদলের এই সময় হওয়া সর্দি-জ্বর প্রতিরোধ করতে কাজে আসতে পারে এই পটল। লিভারের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্যও পটল উপকারী।

ওজন নিয়ন্ত্রণে

পটলে যে ফাইবার পাওয়া যাবে, তা পাচিত হতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগে। যে কারণে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। আবার পটলে ক্যালোরিও থাকে কম। ১০০ গ্রাম পটলে মাত্র ২০ ক্যালোরি থাকে। ফলত: যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন অথচ তারা বুঝতে পারছেন না, কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত, তাদের জন্য পটল একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে

পটল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কিংবা এলডিএল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। যে কারণে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। কমে যায় স্ট্রোকের ঝুঁকি।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

পটল ও পটলের বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপযোগী। পটলে থাকে ফ্ল্যাভিনয়েড জাতীয় উপাদান, আরও থাকে কপার- পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদানগুলো রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকর।

ত্বকের সমস্যায় পটল

শুষ্ক ত্বকের সমস্যা, র‌্যাশ, চুলকানি কিংবা এগজ়িমার মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এই পটল। এমনকি, চটজলদি কাটা-ছড়ার ক্ষত সারাতেও দারুণ কাজ করে এই পটল।

সংক্রমণজনিত সমস্যার সমাধান

ঠাণ্ডা লাগা, সংক্রমণজনিত সর্দি-কাশি বা হাঁচির মতো শারীরিক সমস্যাও দূরে করে এই পটল খেলে। তাই অবহেলা না করে মৌসুমি সব্জি যেমন খাবেন, তেমন পটলকেও সারা বছরের সঙ্গী করে রাখতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on নভেম্বর ১৩, ২০২৩ 3:09 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

দেশে ফিরেই মোনালিসা অভিনয়ে ফেরার কথা জানালেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময় ছোট পর্দার ব্যস্ত মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মোজেজা…

% দিন আগে

এই ছবির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটি হরিণ: আপনি কী খুঁজে বের করতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই জঙ্গলের মধ্যে নদী রয়েছে। রয়েছে সার দেওয়া গাছ। চারপাশে…

% দিন আগে

পাহাড়-পর্বতের এক অসাধারণ দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

সন্তানের শরীরচর্চা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে জিম, যোগাসন ও আর যা শেখানো যেতে পারে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে পড়াশোনার জন্য দিনের বেশির ভাগ সময় কম্পিউটারে চোখ রাখতে…

% দিন আগে

ডিবিএইচের ময়মনসিংহ শাখা উদ্বোধন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের গৃহঋণ প্রদানকারী স্পেশালিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি সম্প্রতি…

% দিন আগে

পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো সরান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রবিবার (১২ মে) সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায়…

% দিন আগে