দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইসিএমএবি বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রতিযোগিতায় ‘এমএনসি ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি’তে গোল্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে বিএটি বাংলাদেশ। এই নিয়ে টানা ৭ বারের মতো প্রতিষ্ঠানটি এ পুরস্কার অর্জন করলো।
পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে ৭ নভেম্বর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকার গ্র্যান্ড বলরুমে স্বনামধন্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এক বর্ণাড্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান ড. মো. হামিদ উল্লাহ্ ভূঁঞা সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। আয়োজনে সরকারি কর্মকর্তা, উদ্যোক্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শীর্ষস্থানীয় নির্বাহীবৃন্দ এবং বিএটি বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) ব্যতিক্রমী কর্মক্ষমতা, স্বচ্ছতা, সুশাসন, সমাজের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং জবাবদিহিতা প্রদর্শনকারী কোম্পানিগুলিকে সেরা কর্পোরেট পুরস্কার প্রদান করে। এসএএফএ, সিএপিএ, আইএফএসি’র মতো আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়; আর এর মধ্য দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দক্ষ, ব্যয়সাশ্রয়ী ও কার্যকরী কার্যক্রমকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
২০২২ সালের বিএটি বাংলাদেশের সার্বিক পারফমেন্সের কঠোর মূল্যায়ন করেন আইসিএমএবি’র পুরস্কার কমিটির সদস্যরা; আর এই মূল্যায়নের ভিত্তিতেই এমএনসি ক্যাটাগরিতে বিএটি বাংলাদেশকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি’র কাছ থেকে অনন্য এই অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে গোল্ড অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব অপারেশনস হোর্হে মাসেদো পাভোন, হেড অব ফাইন্যান্স নিরালা সিং, হেড অব লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স সুদেশ পিটার, এবং হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আজিজুর রহমান সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
কৃতজ্ঞতার সাথে টানা সপ্তম বছরের জন্য মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্রহণ করে, শেহজাদ মুনিম ব্যক্ত করেন, “আমরা এই স্বীকৃতির দ্বারা গভীরভাবে সম্মানিত। এই কৃতিত্বটি আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সমস্ত দিক জুড়ে সুশাসনের সর্বোচ্চ মান সমুন্নত রাখার অবিচল নিষ্ঠাকে তুলে ধরে।
আমি সকল বিজয়ীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলবো, একটি শক্তিশালী ও কল্যাণময় ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের একযোগে কাজ করার এখনই সময়। আসুন একসাথে, সকলের জন্য একটি সম্ভাবনাময় আগামীর পথ প্রশস্ত করতে ইএসজি তথা পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসনের নীতিগুলির চর্চা বাড়াই।” খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on নভেম্বর ৮, ২০২৩ 4:51 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…