দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০২ তলাবিশিষ্ট এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এ উঠে হৈ চৈ ফেলেছিলেন এক বনমানুষ। এটি আসলে হলিউডের ব্যাপক আলোচিত চলচ্চিত্র ‘কিং কং’ এর কথা।
তারপর গড়িয়ে গেছে প্রায় ১০০ বছর। কিছুদিন পূর্বে আবার ১০২ তলা ভবনটি বেয়ে উঠেছেন জনৈক ব্যক্তি। তবে এবার কোনো চলচ্চিত্রের কাহিনী নয়, বাস্তবে! জী, হ্যাঁ। তিনি আর কেও নন বরং স্বনামধন্য অভিনেতা এবং মিউজিসিয়ান জেরাড লেটো।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক শহরে আকাশছোঁয়া এই ভবনটিতে খালি হাতে চড়েছেন জেরাড লেটো। তিনি একজন অভিনেতা ও ‘থার্টি সেকেন্ডস টু মার্স’ সংগীত দলের প্রতিষ্ঠাতাও। আগামী মার্চ হতে বিভিন্ন দেশে সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে এই দলটি। বিষয়টি নিয়ে প্রচারণা চালাতেই এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে চড়ার মতো দুঃসাহসিক কাজটি করে বসেন লেটো।
বিষয়টি নিয়ে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং কর্তৃপক্ষ ২২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে। ভিডিওটিতে দেখা যায় যে, লেটো কমলা রঙের পোশাক পরে অনায়াসে ভবনটির বাইরে বেয়ে উঠছেন। ইতিমধ্যেই ভিডিওটি ১২ লাখেরও বেশি ভিউ হয়েছে। লেটোর এই কাণ্ডের প্রশংসা করে কমেন্ট করেছেন বহু নেটিজেন।
আকাশছোঁয়া এই ভবনটি বেয়ে লেটোর আগে বাস্তবে কেওই ওঠেনি। এই অভিজ্ঞতা অসাধারণ ছিল বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন লেটো। তবে কাজটি বড় চ্যালেঞ্জের ছিল বলেও উল্লেখ করেছেন লেটো। এর প্রমাণ দিতে গিয়ে নিজের আঙুলের রক্তমাখা ক্ষতগুলোও দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবেমাত্র একটি গানের অ্যালবাম বের করেছি। এ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেটি উদযাপনের জন্যই আমার এই উদ্যোগ গ্রহণ। আপনারা জানেন, আমার এই কাজের পেছনে আরেকটি কারণ হলো স্বপ্ন পূরণ।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org