দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার হাজার হাজার গুগল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে যাচ্ছে গুগল। আর এই সাফাই পর্ব শুরু হবে এ বছর ডিসেম্বর মাসেই।
তার পূর্বে ইউজারদের সতর্ক করতে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ ইউজারদেরকে ই-মেইল পাঠাতে শুরু করেছে এই সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট। সংস্থাটি জানিয়েছে, জারি করা শর্ত না মেনে চললে ইউজারের গুগল অ্যাকাউন্ট পুরোপুরিভাবে ডিলিট করে দেওয়া হবে। আমরা সকলেই জানি বর্তমানে গুগল অ্যাকাউন্ট কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে একজন ইউজারের কাছে। ডিলিট হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কী কী করতে হবে সেটি আজ জেনে নিন।
গুগল অ্যাকাউন্ট কেনো ডিলিট হবে?
সার্চ ইঞ্জিনটি জানিয়েছে, যেসব গুগল অ্যাকাউন্টে ২ বছর যাবত কোনো সাইন ইন হয়নি সেইসব অ্যাকাউন্টই বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর পূর্বে টানা ১৮ মাস অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো অ্যাক্টিভিটি না হলেই সেটি ইনঅ্যাক্টিভ ধরা হতো।
গুগলের মতে, ইনঅ্যাক্টিভ গুগল অ্যাকাউন্টগুলিতে হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে অনেক বেশি। কারণ এগুলোতে নিরাপত্তা স্তর অনেকটা কম থাকে। তাই ইউজারদের প্রাইভেসি সুরক্ষিত রাখতে এই পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে গুগল। এই টেক সংস্থাটি এক ই-মেইলে জানিয়েছে যে, ১ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে এই সকল অসক্রিয় অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণভাবেই মুছে ফেলা হবে।
তাহলে কীভাবে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখবেন?
যদি আপনার কোনো গুগল অ্যাকাউন্ট টানা ১৮ মাস কিংবা দুই বছর ধরে অসক্রিয় থাকে তাহলে এই একটি উপায়ে পুনরায় সক্রিয় করতে পারেন। তবে আপনি যদি সম্প্রতি গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করে থাকেন তাহলে ভয় পাওয়ার কোনোই কারণ নেই। কারণ এই ক্ষেত্রে গুগল আপনার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করবে না। গুগল বলেছে যে, যদি কোনো অ্যাকাউন্ট অসক্রিয় থাকে তাহলে তার ই-মেইল ও সেই ই-মেইলের রিকভারি ই-মেইল সতর্ক বার্তা পাঠাতে থাকবো আমরা। এই গুগল অ্যাকাউন্ট যদি ডিলিট করে দেওয়া হয়, তাহলে এর সঙ্গে যুক্ত জিমেইল অ্যাকাউন্টও ব্যবহার করতে পারবেন না সেই ইউজার। এমনকি নতুন গুগল অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org