দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় উপস্থাপক শারমিন আঁখি। তার সাবলিল উপস্থাপনার মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন ইতিমধ্যেই। তার সেই উপস্থাপনার এবার দুই যুগ পার হলো।
ক্যারিয়ারে দুই যুগের যাত্রা সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমকে এই জনপ্রিয় উপস্থাপক শারমিন আঁখি বলেছেন, ‘উপস্থাপনায় ক্যারিয়ার গড়া আমাদের সময় ততোটা অনুকূল ছিল না। তবু নিজের চেষ্টা ও মেধায় একটু একটু করে আজকের এই অবস্থানে এসেছি। বলা যায়, নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়েই স্বপ্ন ছুঁয়েছি।’
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সংবাদ উপস্থাপনার পাশাপাশি নিয়মিতভাবেই অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন তিনি। বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হলেও একাধিক বেসরকারি টেলিভিশনসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বাংলাতেও সংবাদ পাঠ করেছেন শারমিন আঁখি। শুধু সংবাদ উপস্থাপনায় নয়, টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন শারমিন আঁখি।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ বেতারের বিশেষ শ্রেণির সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন। উপস্থাপনা মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ সম্পর্কে শারমিন আঁখি বলেন, ‘বর্তমানে এই সৃজনশীল পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার বেশ সুযোগ রয়েছে। দিন দিন এই ক্ষেত্রটি আরও প্রসারিত হচ্ছে। এখন শুধু টিভিই নয়, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ইভেন্ট-অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করে অনেকেই ভালো অবস্থান তৈরি করছেন। সব মিলিয়ে এই পেশার ভবিষ্যৎ খুব ভালো দেখতে পাচ্ছি। তবে উপস্থাপনায় শব্দচয়ন কিংবা উচ্চারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টিতেই সবার নজর দেওয়া উচিত।’
অপরদিকে সংগীতচর্চা,-কাব্যচর্চাতেও বিচরণ রয়েছে শারমিন আঁখির। এইসব দক্ষতাও পৃথকভাবে পরিচিত করে তুলেছে তাকে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু গানের পাশাপাশি লিখেছেন একাধিক কাব্যগ্রন্থও। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননাও পেয়েছেন শারমিন আঁখি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org