দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ২ ডিসেম্বর এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
সিএসআর উইন্ডোর সহযোগিতায় এই অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করে ডেইলি স্টার। বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন কর্পোরেট সংস্থাগুলোর সাসটেইনেবিলিটি এবং কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) সংশ্লিষ্ট অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তৃতীয়বারের মতো এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম বাংলাদেশে সাসটেইনিবিলিটি যাত্রার ভবিষ্যৎ নিয়ে মূলবক্তব্য প্রদান করেন। টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য এ বছর মোট সাতটি বিভাগে (ক্যাটাগরি) পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো – এডুকেশন (সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স ইনিশিয়েটিভ ইন এডুকেশন), কমিউনিটি এনগেজমেন্ট, এনভায়রনমেন্ট (পরিবেশ), হেলথকেয়ার (স্বাস্থ্যসেবা), ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন (আর্থিক অন্তর্ভুক্তি), ডিজাস্টার রেসপন্স (দুর্যোগ মোকাবিলা) এবং ইয়াং হিউম্যানিটারিয়ান অব দ্য ইয়ার।
এই বছর বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে ৬টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং ৩ ব্যক্তি। পুরস্কারপ্রাপ্তরা প্রধান ও বিশেষ অতিথিদের কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী, খাত বিশেষজ্ঞ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ আরো অন্যান্য অতিথি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি ডেইলি স্টার এবং সিএসআর উইন্ডোর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
চিলড্রেনস প্রোগ্রাম উদ্যোগের জন্য ‘সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স ইনিশিয়েটিভ ইন এডুকেশন’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) এবং ছাতক এলাকায় বসবাসরত সম্প্রদায়ের উন্নয়নে গৃহীত উদ্যোগের জন্য লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডকে কমিউনিটি এনগেজমেন্ট বিভাগে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এছাড়া, এনভায়রনমেন্ট (পরিবেশ) বিভাগে বিজয়ী হয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (প্লাস্টিক সার্কুলারিটি উদ্যোগ) এবং আশুলিয়ায় নারী ও শিশুদের জন্য হাসপাতাল প্রকল্পের জন্য হেলথকেয়ার (স্বাস্থ্যসেবা) বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড।
গ্রামীণফোন এর জিপি অ্যাকসেলেরেটর ও জিপি একাডেমি উদ্যোগের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগে এবং বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড এর আগাম সতর্কবার্তা সংশ্লিষ্ট উদ্যোগের জন্য দুর্যোগ মোকাবিলা (ডিজাস্টার রেসপন্স) বিভাগে সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। আরিফুর রহমান শিহাব, লামিয়া তানজিম তানহা এবং আরিয়ান আরিফকে তাদের ভালো কাজের হোটেল, ট্রান্সএন্ড এবং মজার ইশকুল প্রকল্পের জন্য ‘ইয়াং হিউম্যানিটারিয়ান অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
সমাদৃত বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ড নির্দিষ্ট মানদণ্ড এবং প্রজেক্ট পারফরম্যান্স (প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতা) বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নির্বাচিত করেন।
কর্পোরেটদের আরও টেকসই কর্মপরিকল্পনা করতে অনুপ্রাণিত করে এই অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম। এই প্ল্যাটফর্ম স্বল্পমেয়াদী সুফলের পরিবর্তে টেকসই পরিবর্তন ত্বরান্বিত করবে এমন কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ করে। উদ্ভাবনী ও ফলাফল-ভিত্তিক সাসটেইনেবিলিটি এবং সিএসআর উদ্যোগ গ্রহণ করছে এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের স্বীকৃতি প্রদান করে থাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org