দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গত নির্বাচন নিয়ে এখনও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনের নতুন তারিখ জানালেন নিপুণ।
একটি পদককে ঘিরে ঢালিউড তারকা জায়েদ খান এবং অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারের দ্বন্দ্ব আদালত পর্যন্ত গড়ায় গত নির্বাচনে। এর সুরাহা হতে না হতেই বতর্মান কমিটির মেয়াদ প্রায় শেষও হয়ে যাচ্ছে। শিল্পী সমিতির নির্বাচন বিষয়ে নিপুণ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সময়ও হয়েছে। আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হবে।
গতকাল রবিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএফডিসিতে অবস্থিত শিল্পী সমিতির অফিস কক্ষে নিপুণ এইসব কথা বলেছেন।
অভিনেত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ হতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ফেরদৌস ভাইকে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখানে চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত থাকবেন।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, পরিকল্পনা চলছে সংবর্ধনার পর ফেরদৌসের নির্বাচনি প্রচারণায় মাঠে থাকবে সমিতির সকল সদস্যরা। ফেরদৌস ও জাতীয় নির্বাচন নিয়েই যে শুধু নজর রাখছেন নিপুণ, তা কিন্তু নয়। কারণ হলো কাজের কাজ কিছু না করলেও সমিতির নির্বাচন দেখতে দেখতে ঘনিয়ে এসেছে।
এই সময় নিপুণ বলেছেন, ‘আমাদের বর্তমান কমিটির মেয়াদও প্রায় শেষের দিকে। জাতীয় নির্বাচনের কারণে এই মুহূর্তে কোনো নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা যাবে না। তাই জাতীয় নির্বাচনের পর ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের তফশিল ঘোষিত হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে মামলা-মোকদ্দমা পেরিয়ে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিজের করে নিয়েছেন নিপুণ আক্তার। অপরদিকে একই সেশনে কার্যকরী সদস্য হিসেবে ফেরদৌস আহমেদও নির্বাচিত হন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org