দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টেইলর সুইফট মানেই বর্তমানে নিত্য নতুন রেকর্ড। ‘টাইম’ সাময়িকীর বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব এই পপ তারকা আবারও ইতিহাসের এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন। তার ইরাস কনসার্ট ট্যু’র এবার শতকোটি ডলার টিকিট বিক্রির ইতিহাসও গড়তে যাচ্ছে।
সপ্তাহান্তের হিসাব অনুযায়ী দেখা যায়, দুই আমেরিকায় এর টিকিট এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিক্রি হয়েছে। টিকিট বিক্রির হিসাব সংরক্ষণকারী সংস্থা মিডিয়া পোলস্টার গত শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, টিকিট বিক্রি হয়েছে মোট ১,০৩৯,২৬৩,৭৬২ ডলার যা পরের দিন অর্থাৎ শনিবারের ডলার রেটে বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ হাজার ৪৩১ কোটি ৯০ লাখ টাকারও বেশি!
‘ফরচুন’ সাময়িকী লিখেছে যে, টিকিট বিক্রি ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর মাধ্যমে সুইফটের ইরাস ট্যুর হয়ে গেছে সংগীত-কনসার্ট ট্যুরের এ যাবতকালের সর্বোচ্চ বিক্রীত টিকিটের ট্যুর।
ইতিপূর্বে, গায়ক এলটন জনের দখলে ছিল এই রেকর্ডটি। এই জুলাইয়ে শেষ হওয়া তাঁর ফেয়ারওয়েল ইয়েলো ব্রিক রোড ট্যু’রের মোট আয় হয় ৯৩৯ মিলিয়ন ডলার।
পোলস্টার জানিয়েছে, টিকিট বিক্রির এই আয়ের জন্য এলটন জন ২০১৮ থেকে এই জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৩০০টি শো করেন। অপরদিকে মাত্র ৮ মাসে টেইলর সুইফট ৬০টি কনসার্ট থেকে এক বিলিয়ন ডলার আয় করে ফেলেন!
আগামী ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ছুটি শেষে সুইফট বিশ্বভ্রমণ শুরু করবেন। এ পর্যন্ত ২০ মাসে মোট ১৪০ দিনের ট্যুরের পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। তবে শেষ পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও হয়তো বাড়তে পারে, সেইসঙ্গে টিকিট বিক্রিও বাড়বে।
উল্লেখ্য যে, এ বছরের ১৭ মার্চ আমেরিকার অ্যারিজোনা রাজ্যে এই কনসার্ট ট্যুরটির সূচনা করেছিলেন টেইলর সুইফট।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org