দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সোশ্যাল মিডিয়া হলেও ফেসবুক বর্তমানে বিনোদনের পাশাপাশি জনপ্রিয় ‘মার্কেটপ্লেস’ও হয়ে উঠেছে। বেচা-বিক্রি বাড়াতে অফলাইনের পাশাপাশি নিজস্ব ওয়েব ছাড়াও ফেসবুকে পেজ খুলে ব্যবসা করছে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড।
ই-কমার্স ঠিকানা ছাড়াও উদ্যোক্তা হয়ে অনেকেই লোভনীয় ও আকর্ষণীয় অফার দিয়ে নিজেদের পণ্য বিক্রি করছেন নিজের পেজ থেকেই।
এই সুবিধা নিয়ে বর্তমানে প্রায় ২৫ কোটি উদ্যোক্তা নিজেদের বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে আসছেন। তবে এই সকল বিক্রেতার পরিচয় এবং অন্যান্য কোনো তথ্যই যাচাই করে না ফেসবুক। তাই অনেক সময় মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে। অবশ্য মার্কেটপ্লেসে এই রকম প্রতারণার শিকার হলে সেই বিক্রেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকের কাছে অভিযোগ জানানোর সুযোগও রয়েছে। নিচে উল্লিখিত টিপস অনুসরণ করলে প্রতারক বিক্রেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পরিত্রাণ পেতে পারেন।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে কোনো বিক্রেতার কারণে প্রতারণার শিকার হলে প্রথমেই মার্কেটপ্লেসের ‘প্রোডাক্ট লিস্টিং’ পৃষ্ঠা থেকে ‘বিক্রেতার প্রোফাইল’-এ আপনাকে প্রবেশ করতে হবে।
তারপর ‘ভিউ প্রোফাইল’ এর পাশে থাকা ৩টি ডট মেন্যুতে ট্যাপ করলেই ‘রিপোর্ট’ নামে একটি অপশন চলে আসবে।
এই অপশনটিতে ট্যাপ করে ‘কন্টিনিউ’ বাটনে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। এখন পরের পৃষ্ঠায় অভিযোগ জানানোর জন্য বিভিন্ন অপশনও দেখতে পাবেন। সেখানে থাকা ‘অলরেডি সোল্ড’, ‘ইনঅ্যাকুরেট প্রাইস অর ডেসক্রিপশন’, ‘ডিডেন্ট শো আপ’, ‘স্টপড রেসপন্ডিং’, ‘স্ক্যাম’, ‘ডিডেন্ট রিসিভ আইটেম’ হতে অভিযোগের ধরন বুঝে নির্দিষ্ট অপশন নির্বাচন করে তারপর ‘ডান’ বাটনে ট্যাপ করলে ফেসবুকের কাছে সেই বিক্রেতার নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়ে যাবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org