দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে হঠাৎ করেই ফেসবুক বন্ধ হয়ে যায়। রাত ৯টার পর থেকে ফেসবুকে লগ–ইন করা যাচ্ছিলো না। এমনকি যারা ফেসবুকে লগ–ইন করা অবস্থায় ছিলেন তারাও লগ–আউট হয়ে যান। পরে রাত ১০ টা ২২ মিনিটে আবার সচল হয় ফেসবুক।
বর্তমান বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ফেসবুকের বদৌলতে মানুষ ঘরে বসেই দুনিয়ার সব খবর রাখতে পারছেন। নিজের আত্মীয়স্বজনসহ কার কি অবস্থা, অর্থাৎ কে অসুস্থ্য, নিজ এলাকার কে মারা গেলো ইত্যাদি সব বিষয়েই জানা যায় এই ফেসবুকের মাধ্যমে। ভাত-মাছের ন্যায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মতোই হয়ে উঠেছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এটি যদি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় বা যদি সত্যিই কোনো দিন না থাকে তাহলে কী হবে? এই প্রশ্ন যদি কাওকে করা যায় সে চোখ বন্ধ করে বলবে, ফেসুবক ছাড়া চলবে না, এটি না হলে মানুষ একেবারে অন্ধকারে নিপতিত হবেন। আসলে যখন ফেসবুক বা ইন্টারনেট ছিলো না তখন কিন্তু দুনিয়া চলেছে, সবকিছুই স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু এখন অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এগুলো না হলে জীবন-যাত্রা অচল হয়ে যাবে!
গতকাল রাতে হঠাৎ করেই ফেসবুক বন্ধ হয়ে যায়। যারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের লগ আউট হয়ে যায়। আর তখন তারা হাজার চেষ্ট করেও চালু করতে পারেননি। যে কারণে অনেকেই মনে করেছিলেন, তাদের ফেসবুক এ্যাকাউন্ট মনে হয় হ্যাক হয়েছে! সবাই চিন্তায় পড়ে যান। কিন্তু কতোক্ষণ যেতে না যেতেই সংবাদ মাধ্যমে খবর চলে আসে আসলে ফেসবুকের সার্ভার সমস্যায় ডাউন হয়েছে। এরপর সবাই যেনো স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলেন। মূলত ফেসবুকের কারিগড়ি ত্রুটির কারণেই এমনটি ঘটেছে যা আগেও একবার ঘটেছিলো।
পরে রাত ১০ টা ২২ মিনিটে আবার সচল হয় ফেসবুক। আর তখন সবাই যেনো স্বস্থি পান। আমরা এতোটাই ফেসবুক নির্ভর হয়ে পড়েছি যে এটিকে আমরা জরুরি প্রয়োজনীয় হিসেবেই দেখছি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org