মধ্যরাতে হঠাৎ দাঁতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ রাখতে ভরসা করতে পারেন কয়েকটি টোটকায়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দাঁতে ব্যথা হতে পারে বলে আইসক্রিমই খান না। মিষ্টি খাওয়াও একেবারেই বাদ দিয়েছেন। তারপরেও কি আক্কেল দাঁতের ব্যথা ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছেন?

ঠাণ্ডা কিংবা গরম কিছু খেলেই দাঁতে ব্যথা শুরু হয়। তবে আক্কেল দাঁত এতোই বেআক্কেলে যে, সে কোনও নিয়মই মানে না। কোনও কিছু চিবিয়ে খেতেও অসুবিধে হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে যন্ত্রণা দাঁত থেকে কান, গলা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ব্যথার ওষুধ খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। মধ্যরাতে হঠাৎ এমন ব্যথা শুরু হলে তা সামাল দেওয়া বেশ কঠিন।

লবণ দেওয়া গরম পানিতে কুলি

Related Post

ঈষদুষ্ণ পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। এতে দাঁতের গোড়ায় থাকা ব্যাক্টেরিয়ার বাড়-বাড়ন্তও কমে। যে কারণে আক্কেল দাঁত যেখানে উঠছে, সেই জায়গায় কোনও রকম সংক্রমণ হয়ে থাকলে, তা কমেও যায়। এছাড়াও এতে মাড়ির ব্যথারও উপশম হবে।

লবঙ্গ

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ খুবই কার্যকরী একটি জিনিস। মুখের মধ্যে ব্যথা হলে ওই ব্যথার এলাকায় একটি লবঙ্গ দাঁতে চেপে রাখতে হয়। এই লবঙ্গের রসে সেখানকার সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়ারও মৃত্যু ঘটে। সেইসঙ্গে ব্যথাও কমে যায়। তাছাড়াও ইচ্ছে করলে ব্যথার জায়গায় লবঙ্গের তেলও লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতেও ব্যথা দূর হতে পারে।

ঠাণ্ডা-গরম সেঁক

সারা দিনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ঠাণ্ডা-গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে মুখের বাইরে থেকেই। একটি তোয়ালেতে বরফ নিয়ে ঠাণ্ডা সেঁক দিলে ব্যথা বেশ কমবে। আবার গরম সেঁক দিলে রক্ত চলাচলও বাড়বে। যে কারণে ব্যথার দ্রুত উপশম হয়ে যাবে।

পুদিনা

সাধারণত পুদিনা পাতায় অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানও থাকে। যা ব্যথা কমাতেও সহায়তা করে। পুদিনা পাতার রসে তুলোতে ভিজিয়ে মাড়িতে লাগান, আক্কেল দাঁতের ব্যথায় বেশ আরাম পাবেন। গরম গরম পুদিনা পাতা দেওয়া চা পান করলেও সুফল পেতে পারেন।

হলুদ

দাঁতের ব্যথা কমাতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। এক কাপ গরম পানিতে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়, ২টি লবঙ্গ এবং ২টি শুকনো পেয়ারা পাতা নিন। তারপর কুলকুচি করুন। মাড়ির ক্ষত এবং দাঁতের ব্যথায় আরাম পেতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩ 4:22 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

রাতের খাবার না খেয়ে চিকন থাকার চেষ্টা: শরীরের পক্ষে এটি কী আদৌ ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই চিকন হওয়ার জন্য রাতের খাবার না খেয়ে থাকেন। কিন্তু…

% দিন আগে

শেয়ারট্রিপের মেগা ক্যাম্পেইন, শেয়ারট্রিপ পে’র মাধ্যমে জিতুন আকর্ষণীয় সব পুরস্কার

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘গরমে চরম ব্যাপার’ নামে আকর্ষণীয় সব পুরস্কারে ভরপুর এক মেগা…

% দিন আগে

ইরানি পরিচালকের ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং চাবুক মারার নির্দেশ!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের প্রশংসিত চলচ্চিত্র পরিচালক মোহাম্মদ রাসুলফকে ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং…

% দিন আগে

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি বিচারপতির

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে ফৌজদারি ঘুষ মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট…

% দিন আগে

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: উৎসবমুখর পরিবেশে বেসিস নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেসিস প্রদত্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আনন্দমুখর ও অংশগ্রহণমূলকভাবে…

% দিন আগে

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পূর্বেই ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন একটি ঘটেছে সৌদি আরবে। ছেলেকে হত্যার জন্য বিচারপ্রার্থী ছিলেন…

% দিন আগে