দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত (বুধবার) থেকেই বাংলাদেশের দর্শক স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘অ্যাকুয়াম্যান’ এর নতুন সিক্যুয়ালটি দেখতে পারছেন বাংলাদেশের দর্শকরা।
স্টার সিনেপ্লেক্স দেশের সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের জন্য আবারও চমকপ্রদ খবর নিয়ে এলো। সারা বিশ্বে সবার আগেই বাংলাদেশে মুক্তি পেলো ২০১৮ সালের সাড়া জাগানো ছবি অ্যাকুয়াম্যান-এর সিক্যুয়াল ‘অ্যাকুয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম’।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে ছবিটি মুক্তি পাবে ২২ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবিটি মুক্তি পেলো বুধবার (২০ ডিসেম্বর)। যে কারণে সবার আগে বাংলাদেশের দর্শকরা এই সিনেমাটি দেখার সুযোগ পেলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
ছবিটির কাহিনী এমন: আইসল্যান্ডের এক দুর্গম কুয়াশাচ্ছন্ন গ্রামের এক আগন্তুকের খোঁজে এসেছেন ব্রুস ওয়েন। সেই আগন্তুক আর্থার কারি, তার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি সমুদ্রের প্রাণীদেরকে নিয়ন্ত্রণ করছেন, শীতে কাতর মানুষদেরকে খাবারের যোগানও দিচ্ছেন। পৃথিবী আক্রমণ করা মহাজাগতিক ভিলেনের বিপক্ষে দল গঠনও করছিলেন ব্রুস। প্রথমে সরাসরি তাকে না করে দিলেও পরে নিজের মায়ের রাজ্য আটলান্টিসকে রক্ষার উদ্দেশ্য ঠিক এগিয়ে আসেন আর্থার। ‘ব্যাটম্যান ভার্সাস সুপারম্যান: ডন অফ জাস্টিস’ মুভিতে ছোট্ট একটি ক্যামিওর পর ‘জাস্টিস লীগ’ মুভি দিয়ে ঠিক এভাবেই বড় পর্দায় প্রথম অভিষেক ঘটে অ্যাকুয়াম্যানের।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org