দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নানা কারণে বিয়ে ভাঙ্গার খবর আমরা দেখেছি তবে এবার জানা গেলো খাসির পায়া পরিবেশন না করার কারণে বিয়ে ভেঙ্গে গেলো!
খাবার তালিকায় খাসির পায়া না থাকায় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের তেলাঙ্গানা রাজ্যে ভেঙে গেছে বিয়ে। গত মাসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা আয়োজন করা হয় কনের বাড়িতে। তবে ওই বিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় শেষ পর্যন্ত। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে, ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিয়ের পাত্রী হলেন নিজামাবাদের। পাত্র ছিলেন জগতিয়ালের। গত মাসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা আয়োজন করা হয় কনের বাড়িতে। বরযাত্রীদের জন্য কনেপক্ষ নন-ভেজিটেরিয়ান খাবারও আয়োজন করে। বাগদান অনুষ্ঠানের পর যখন খাওয়ার পর্ব শুরু হলো, তখন অতিথিরা লক্ষ করেন যে, কনেপক্ষের পূর্ব-প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খাসির পায়া পরিবেশন করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়ে যায়।
যখন কনের পরিবার নিশ্চিত করে বলে যে খাবারে খাসির পায়া রাখা হয়নি তখন বিবাদ আরও বেড়ে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া এমন অবস্থায় পৌঁছে যে, একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসতে বাধ্য হয়।
কনেপক্ষের পূর্বনির্ধারিত মেনু অনুযায়ী খাবারে খাসির পায়া না দেওয়ার বিষয়টিকে ‘অপমান’ বলে অভিহিত করেন বরপক্ষ।
বরপক্ষ অভিযোগ করে বলে যে, কনের পরিবার ইচ্ছাকৃতভাবেই তাদের কাছে এই সত্য গোপন করেছে যে, মেনুতে খাসির পায়া নেই। শেষ পর্যন্ত বরের পরিবার বিয়ে ভেঙে দেন!
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org