দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তারকাদের অনেকেই সরব ভূমিকা পালন করছেন। অংশ নিয়েছেন নিজের পছন্দের প্রার্থীর প্রচারণাতে। জেনে নিন বিনোদন তারকারা কে কোন আসনের ভোটার?
এখন ভোটের আমেজ দেশজুড়ে। পাঁচ তারকা হোটেল থেকে সাধারণ চায়ের দোকান সবখানেই নির্বাচনী আলোচনা। আগামীকাল রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে অন্য সবার মতোই নাটক সিনেমা সংগীত অঙ্গনের তারকাদের মধ্যে রয়েছে বাড়তি উচ্ছ্বাস। আবার অনেকেই নির্বাচনী প্রচারণাতেও অংশ নিয়েছেন। তাই তারকারা কে, কোথায় ভোট দিচ্ছেন সেটি নিয়ে রয়েছে আগ্রহ। আজ জেনে নিন কোন তারকা কোন আসনের ভোট দেবেন:
সুপারস্টার শাকিব খান রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের বাসিন্দা। তার এলাকাটি ‘ঢাকা ১৭’ আসনে অন্তর্ভুক্ত। গত নির্বাচনে মাকে নিয়ে গুলশান মডেল স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে যান শাকিব। এই নির্বাচনের আগে শাকিব খান ওমরাহ হজ পালনে মক্কার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।
অপরদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজ থাকেন আরেক অভিজাত এলাকা বনানীতে। তার বসবাসের এলাকাটি পড়েছে ‘ঢাকা ১৭’ আসনে। শুধু নির্বাচন ঘিরেই নয়, সারা বছর রিয়াজ আওয়ামী লীগের পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন। নির্বাচনের দিন ভোট প্রদান শেষে সারাদেশের নির্বাচনী খোঁজ খবরও রাখবেন।
জানা গেছে, জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান বারিধারা এলাকাতে বসবাস করেন। ঢাকা-১৭ আসনের ভোটার জয়া।
অপরদিকে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা ঢাকার খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকার ভোটার। সেই হিসেবে তিনি ‘ঢাকা ১৮’ আসনের একজন ভোটার।
আর চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা। এলাকাটি ঢাকা ১১ আসনে। এই অভিনেত্রীকেও নৌকার প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যায়। বিশেষ করে ঢাকা- ১০ আসনে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেন তিনি। একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “আমি ঢাকা বাড্ডা এলাকা’র ভোটার। আমার ভোটটা আমি সঠিকভাবেই দেবো। এরপর ফেরদৌস ভাইয়ের ঢাকা- ১০ আসনে এসে প্রচারণাতে যুক্ত হবো।”
অপরদিকে নায়িকা নিপুণ থাকেন ঢাকার বনানীতে। এই এলাকাটিও পড়েছে ঢাকা- ১৭ আসনে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যায় নিপুণকে।
নিপুণ বলেন, শুরু থেকেই আমি নৌকার সমর্থক। তাই পছন্দের দলের জন্য প্রচারণায় অংশ নেই। ভোটের দিন ভোট দিয়ে ফেরদৌস ভাইয়ের পক্ষে তার সঙ্গেই থাকতে পারি। যেহেতু তিনি আমাদের শিল্পী সমিতিরও একটি বড় অংশ, তার বিজয়ের জন্য শুরু থেকে ব্যক্তিগতভাবে আমি সঙ্গেই রয়েছি।
আর চঞ্চল চৌধুরী ঢাকা-৮ আসনের ভোটার। শাহজাহানপুরের ভোটার চঞ্চল চৌধুরী দিনের শুরুতে ভোট দেবেন, এমনটিই একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। বলেছেন, সচেতন নাগরিক হিসেবে ভোট দেওয়া আমার আপনার সকলের দায়িত্ব। অবশ্যই সকলেরই কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়া উচিত।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন জাহিদ হাসান। তিনি ঢাকা-১০ আসনের একজন ভোটার। তিনি দেশের সবাইকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানান। তার আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।
এদিকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা কণ্ঠশিল্পী কোনাল। তিনি ঢাকা- ১৩ আসনের ভোটার। কোনালের চাওয়া, সারাদেশে যেনো সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তারকা দম্পতি অনন্ত জলিল এবং বর্ষাও থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকাতে। সেদিক থেকেও তারা দুজনে ঢাকা- ১৩ আসনের ভোটার। তথ্যসূত্র: চ্যানেল আই
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org