দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীত এলেই কাশির প্রবণতা দেখা দেয় বেশি। শীতকালীন কাশির এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকেরা সিরাপ দেন। সেই সিরাপ খেয়েও আবার ঘুম পেয়ে যায় অনেক সময়।
আমরা জানি শীতকালে সর্দিকাশি লেগেই থাকে। যেহেতু এটি মৌসুম বদলের সময় তাই জ্বর হোক বা ভাইরাল সংক্রমণ, সঙ্গে লেজুড় হয়ে থাকে এই কাশি। সর্দিজ্বর কমে গেলেও কিছুতেই কমতে চায় না এই কাশির দাপট। সারাক্ষণ গলার কাছে খুসখুস ভাব থাকে। দৈনন্দিন কাজের মাঝে ব্যাঘাত ঘটায় যখন-তখন কাশির এই দমক। শীতকালীন কাশির এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকরা সিরাপ দিয়ে থাকেন। সেই সিরাপ খেয়েও আবার ঘুম পায় অনেকে। সমস্যা এড়াতে ভরসা রাখতে পারেন কার্যকরী কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায়।
মধু, আদা ও তুলসীর মিশ্রণ
বুকে জমে থাকা কফ, সর্দিকাশি নিরাময়ে এই ৩টি উপাদান দারুণভাবে কাজ করে। শিশুদের মধু ও তুলসীপাতা খাওয়ানোর রেওয়াজ রয়েছে বহু কালের। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে এই তিন উপাদানের মিশ্রণ খেলে কাশির দাপট কমে আসবে।
দুধ-হলুদ মিশ্রণ
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে দুধ-হলুদের মিশ্রণ যেমন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে, তেমন কাশির দাপট কমায়। হলুদের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান খুসখুসে কাশি থেকে রেহাই দিতে পারে।
লবণ পানিতে গার্গল
সর্দিকাশি কমাতে অনেকেই লবণ-গরম পানিতে গার্গল করেন। এই টোটকাও ভালো কাজ করে। গলা খুসখুস, কাশি, গলায় সর্দি জমা বা দূষণজনিত অ্যালার্জি থেকে আরাম পেতে লবণ-গরম পানিতে গার্গল করলে উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জানুয়ারী ৭, ২০২৪ 1:07 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…