দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকদিন থেকেই তেলেগু সুপারস্টার বিজয় দেবেরাকোন্ডা এবং রাশমিকা মান্দানার প্রেম নিয়ে চলছে নানা ধরেনের আলোচনা। এবার শোনা যাচ্ছে যে, সবকিছু ঠিক থাকলে নাকি ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই বাগদান হবে এই জুটির।
হিন্দুস্তান টাইমস অব বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, সম্প্রতি ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে বিজয় দেবরাকোন্ডা ও রাশমিকা মান্দান্নার মধ্যে বাগদানের পরিকল্পনা করেছেন, তবে সবকিছুই হবে খুব গোপনেই। একান্ত কাছের কিছু মানুষদের নিয়ে। তারপরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
করণ জোহরের টক শো ‘কফি উইথ করণ’-এ এসে রাশমিকা সম্পর্কে বিজয় জানিয়েছিলেন, ‘আমার কেরিয়ারের প্রথম দিকে আমরা দু’টি সিনেমা একসঙ্গে করেছি। ও আমার সত্যিই খুব প্রিয়, আমি ওকে পছন্দ করি। আমরা দু’জন সত্যিই খুব ভালো বন্ধু।’
তবে বিজয় যতোই রাশমিকাকে বন্ধু বলে দাবি করুক না কেনো, অ্যানিম্যাল সিনেমার প্রচারে রণবীর কাপুর প্রকাশ্যেই মস্করা করেছিলেন দু’জনের সম্পর্ককে ঘিরে।
‘ডিয়ার কমরেড’, ‘গীত গোবিন্দম’ ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন রাশমিকা-বিজয়। আর সেই থেকেই নাকি তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা।
‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমা থেকে ভারতের জাতীয় ক্রাশ রাশমিকা। ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে রণবীরের জুটি হয়েও ব্যাপক প্রশংসায় ভেসেছেন।
রাশমিকা বর্তমানে ‘পুষ্পা টু’-এর শুটিং নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন। এই ছবিতে তাকে দেখা যাবে আল্লু অর্জুনের বিপরীতে। অপরদিকে বিজয়কে দেখা যাবে ‘ফ্যামিলি স্টার’ এবং ‘ভিডি ১২’ চলচ্চিত্রে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org