দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্রিন টি যেমন শরীরের জন্য ভালো, তেমনই ত্বকের ক্ষেত্রেও এই চায়ের ভূমিকা রয়েছে। তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে এই চা।
রাত হয়ে গেলেও, কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ক্লান্তি কাটাতে চায়ের কাপে চুমুক দিতেই হবে। সারাদিনের ক্লান্তি কাটাতে, শরীর ও মন ঝরঝরে করে তুলতে পারে এই চায়ের ঘ্রাণ। একইভাবে ত্বকের ক্লান্তি কাটাতেও সাম্প্রতিক সময় চায়ের লিকার ব্যবহার করতে বলেন ত্বকচর্চা বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিক সময় ত্বকচর্চার এই নিদান ঘুরে বেড়াচ্ছে নেট মাধ্যমে। ত্বকচর্চায় চায়ের লিকার ব্যবহার করা যায়, তবে চা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। গ্রিন টি যেমন- শরীরের জন্য ভালো, তেমনি ত্বকের ক্ষেত্রেও এই চায়ের ভূমিকা আছে। তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে এই চা। ক্যামোমাইল টি’ও এই ক্ষেত্রে ততোটাই উপকারী। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য পেপারমিন্ট ও ল্যাভেন্ডার টি বেশ ভালো। শুষ্ক ত্বকের জন্য অরেঞ্জ টি ব্যবহার করতে পারেন। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য আবার তুলসী চা ভিষণ কাজের।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী আপনাকে টি ব্যাগ বেছে নিতে হবে। এরপর ফুটন্ত পানিতে সেই ব্যাগ কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখতে হবে। চা পাতা হলেও কোনো অসুবিধে নেই। মিনিট পাঁচেক পর ছেঁকে নিতে হবে। এই পানীয় একেবারে ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। একেবারে ঠাণ্ডা হলে ওই পানীয় স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজ়ে রেখে দিতে হবে। মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে, ঠাণ্ডা চায়ের লিকার মুখে স্প্রেও করতে পারেন। আর চায়ের লিকারে তুলো ভিজিয়ে মুখে মাখতে পারেন। তার উপর সিরাম বা ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে সারারাত এটি রেখেও দিতে পারেন। তবে, এই ধরনের চায়ে প্রাকৃতিক উপাদানের মাত্রায় বেশি থাকে। তাই স্পর্শকাতর ত্বকে অস্বস্তি হওয়াটা স্বাভাবিক। তেমন হলে চায়র লিকার মাখার মিনিট পাঁচেক পরই মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে আপনাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org