দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘দরদ’ এর ট্রেলার উন্মোচনে অংশ নিতে একদিনেই রেজিস্ট্রেশন করেছে ১৭ হাজার শাকিব ভক্ত! ভিনদেশি তারকারা ভক্তদের নিয়ে বিরাট আয়োজনে নতুন ছবির ট্রেলারও উন্মোচন করেন। যে কোনো ছবির মূল প্রচারণাই শুরু হয় আসলে এভাবেই! বাংলাদেশেও এবার ঘটতে যাচ্ছে তেমন এক ঘটনা!
ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান এবং বলিউড নায়িকা সোনাল চৌহানকে নিয়ে নির্মিত ‘দরদ’ এর ট্রেলার উন্মোচন করা হবে বড় এক আয়োজনে! সেখানে উপস্থিত থাকবেন হাজারও ভক্ত অনুরাগী! সেই পরিকল্পনা পাকাপোক্ত করেন এই ছবির নির্মাতা অনন্য মামুন!
একটি সংবাদ মাধ্যমকে পরিচালক মামুন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা হতে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দরদ’ এর ট্রেলার লঞ্চিং এর ওই অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রেশন করতে একটি টাকাও লাগবে না। নিয়ম মেনেই রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। সেজন্য নাম, ইমেইল, ফোন নাম্বার ও যে রেজিস্টেশন করবে সে কোন বিভাগ কিংবা এলাকার বাসিন্দা সেটিও লিঙ্কে উল্লেখ করতে হবে।
ট্রেলার উন্মোচন অনুষ্ঠানে শাকিব খান, নায়িকা সোনাল চৌহানসহ ছবির অন্যান্য কলাকুশলী এবং শিল্পীরা উপস্থিত থাকবেন জানিয়ে অনন্য মামুন বলেন, ‘আমরা যে কোনো একটি বড় স্টেডিয়ামে শাকিব খানের ফ্যান এবং সিনেপ্রেমীদের নিয়ে এই আয়োজনটি করবো। লাইভ অনুষ্ঠানে ট্রেলার লঞ্চিংও হবে।’
“দেশের সিনেমার প্রমোশনে এতো বড় আয়োজন হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশনে ২৪ ঘণ্টার পূর্বে ১৭ হাজার শাকিব ভক্ত রেজিস্ট্রেশন করেছে। রেজিস্ট্রেশন চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। ধারণা করেছিলাম হয়তো কয়েক হাজার হতে পারে। তবে আমি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছি না যে, কীভাবে অল্প সময়ের মধ্যে ১৭ হাজার শাকিবিয়ান রেজিস্ট্রেশন করলো। প্রকৃতপক্ষে ‘দরদ’ যে মানের সিনেমা সেই হিসেবে আমরা প্রমোশনে কোনো কমতিই রাখবো না।”
জানা গেছে, প্যান ইন্ডিয়ান ছবি ‘দরদ’ মুক্তি উপলক্ষে ট্রেলার লঞ্চিং অনুষ্ঠান করা হবে আগামি ফেব্রুয়ারিতে। পরিচালক বলেছেন, ওইদিনই রিলিজ ডেটও ঘোষণা করবো।
একটি সূত্র জানানো হয়েছে, দুই ঈদ ছাড়া যে কোনো সময় ছবিটি বিশ্বব্যাপী ৫টি ভাষায় মুক্তি দেওয়া হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org