দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঠাণ্ডার প্রকোপ বেড়েছে। তাই ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে ঘরোয়া ‘বেসনের শিরা’ খাওয়ানোর চল রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়। আজ রয়েছে সেই রেসিপি যা খেয়ে এই শীত থেকে বাঁচতে পারবেন।
শীতে জবুথবু শহর-গ্রাম। তার উপর মাঝে-মধ্যেই বৃষ্টিও হচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ এমন জায়গায় এসে ঠেকেছে যে, শীতে কাঁপছে সবাই। দিনেদুপুরেই হনুমান টুপি পরে বসে আছেন মাঝবয়সিরা। পায়ের মোজা খোলার উপায় নেই বয়স্কদের। বার বার চা, কফি খেয়েও গা গরম হচ্ছে না অনেকের। বাড়িতে থাকলে এক কথা, তবে কাজেকর্মে গেলে তো লেপ, কম্বল সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যায় না। তখন কী করবেন আপনি? তাই সেই সব ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে ঘরোয়া ‘বেসনের শিরা’ খাওয়ানোর চলও রয়েছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। বেসন দিয়ে তৈরি এই টোটকা শুধু গা গরমই রাখে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নাকি বাড়িয়ে তোলে। সকালে নাস্তায় বা বিকেলেও খাওয়া যায় এই পানীয়টি। তবে বেসনের শিরা তৈরি করবেন কীভাবে? জেনে নিন উপকরণ।
উপকরণ
বেসন : ১ কাপ
গুঁড়ো হলুদ : আধা চা চামচ
ছোট এলাচ গুঁড়া : আধা চা চামচ
গোলমরিচ : আধা চা চামচ
গুড় : ২ টেবিল চামচ
দুধ : ২ কাপ
পদ্ধতি
১) প্রথমেই কড়াইতে ঘি গরম করুন। এরমধ্যে দিন বেসন।
২) যতোক্ষণ না ভাজা হচ্ছে, ততোক্ষণ নাড়তে থাকুন। এরমধ্যে দিয়ে দিন গুড়।
৩) এখন অর্ধেক দুধ দিয়ে দিন। ফুটতে শুরু করলে একে একে গোলমরিচ, গুঁড়ো হলুদ ও ছোট এলাচের গুঁড়া দিয়ে দিন।
৪) ঘন হয়ে এলেই পুরো দুধটা দিয়ে দিতে হবে। যেমন- ঘনত্ব চান, সেই বুঝে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org