দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসলামের পবিত্রতম দুই স্থান কাবা শরিফ এবং মসজিদুল নববীতে বিয়ে পড়ানোর অনুমতি দিলো সৌদি আরব।
সৌদির দৈনিক আল ওয়াতানের বরাত দিতয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এই তথ্য দিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পবিত্র মক্কা ও মদিনায় স্বস্তিতে যেনো বিয়ে পড়ানো যায়, সেজন্য সৌদির হজ এবং ওমরাহ মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মক্কা-মদিনায় আসা হজ এবং ওমরাহ যাত্রীদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করার অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
মাসুদ আল জাবরি নামে সৌদির এক বিবাহ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, মসজিদে বিয়ে পড়ানোর ক্ষেত্রে ধর্মীয় সম্মতি রয়েছে। মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) একবার এক সাহাবীর বিয়ে মসজিদেই পড়িয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, মদিনার অনেক মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে বিয়েতে তাদের সব আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াতও দেন। বেশিরভাগ সময়ই কনের পরিবার সবার জন্য ঘরে জায়গা করতে পারেন না। যে কারণে মসজিদুল নববী কিংবা কাবায় এসে বিয়ে পড়ানো হয়। মাসুদ আল জাবরি জানিয়েছেন, অনেকের বিশ্বাস মসজিদের বিয়ে পড়ানো হলে সেটি অবশ্যই মঙ্গলজনক হয়।
সৌদি সরকারের এই বিবাহ কর্মকর্তা আরও জানান, মসজিদুল নববী বা কাবা শরিফে যারা বিয়ে পড়াতে আসবেন তাদের অবশ্যই কিছু নিয়ম-কানুন মানতে হবে। যেমন: জোরে জোরে শব্দ করে মুসল্লিদের মনযোগ নষ্ট করা যাবে না। মসজিদগুলোর পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে ও কফি, মিস্টিসহ অন্যান্য খাবার খুব বেশি পরিমাণে আনা যাবে না।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org