দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজও রয়েছে একটি ধাঁধা। আর এই ধাঁধার প্রশ্নটি সহজ। একটি স্নানঘরের ছবি। সেখানে নানা জিনিসপত্রের সঙ্গে রাখা হয়েছে একটি হেডফোন। সেই হেডফোনটিই খুঁজে বের করতে হবে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে। আপনি কী তা পারবেন?
এটি মূলত আরও একটি চোখ ধাঁধানো ধাঁধা। যার গালভরা নাম অপটিক্যাল ইল্যুশন। ইল্যুশন অর্থাৎ যা নেই তা রয়েছে মনে হবে বা যা রয়েছে তা নেই। প্রখর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা থাকলে একমাত্র এই চোখে ধাঁধা লাগানো ভুলকে টক্কর দিতেই পারবেন আপনি। জিতে নিন চ্যালেঞ্জ। আর প্রমাণ দেবেন নিজের বুদ্ধিমত্তার।
কথায় বলে বুদ্ধির ধার বাড়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে। যতো বেশি চ্যালেঞ্জ, ততো তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা। এই ধাঁধাটি আপনার বুদ্ধিতে শান দিতে সাহায্য করতে পারে।
ধাঁধার প্রশ্নটি কিন্তু খুবই সহজ। এটি একটি স্নানঘরের ছবি। সেখানে নানা জিনিসপত্রের সঙ্গে রাখা হয়েছে একটি হেডফোন। সেই হেডফোনটিই খুঁজে বের করতে হবে মাত্র ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে। আপনি কী পারবেন?
সাকুল্যে সময় বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ১৫ সেকেন্ড। যারা পারবেন তাদের বলতে হবে, আপনার বুদ্ধিমত্তা ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা দুই-ই তারিফ করার মতো।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিশ্বের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের পক্ষেই ওই সময়ের মধ্যে হেডফোনটি খুঁজে বের করা সম্ভব।
তবে উত্তর আগে দেখে নিলে কিন্তু চলবে না।
যদি না পেরে থাকেন, তার মানে এই নয় যে, আপনি নিজে পিছিয়ে রয়েছেন। পর্যবেক্ষণে ক্ষুরধার না হলেও এই দিয়ে আপনার সার্বিক বুদ্ধির বিচার করা যাবে না। তাই নিশ্চিন্তে নীচের সমাধান দেখে নিন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org