দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনের বাসিন্দা লিউ তার দলিলে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন যে, তার সম্পত্তির কোনও ভাগই তার সন্তানদের যেনো না দেওয়া হয়। তবে ছেলেমেয়ে থাকতে কেনো হঠাৎ পোষ্যদের নামে সম্পত্তি লিখলেন ওই মহিলা?
সন্তান থাকতেও কেনো সন্তানদের নামে নয়, নিজের সম্পত্তি পোষ্যদের নামে লিখে দিলেন এই বৃদ্ধা? ঘটনাটি ঘটেছে চীনে। দেশটির বাসিন্দা লিউ তার দলিলে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন যে, যাতে তার সম্পত্তির কোনও ভাগই যেনো তার সন্তানদের না দেওয়া হয়। তবে ছেলেমেয়ে থাকতে কেনো হঠাৎ পোষ্য ছানাদের নামে সারা জীবনের সঞ্চয় ২ কোটি ইউয়ান বা প্রায় ২৮ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পত্তি বা ৩০ কোটি লিখে দিলেন ওই মহিলা?
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, পুত্রকন্যারা কখনওই পাশে থাকেননি এই বৃদ্ধার, তাই এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে। বেশ কয়েক বছর পূর্বে সন্তানদের নামে সমস্ত সম্পত্তি (উইল) লিখে দিয়েছিলেন লিউ। তবে সম্প্রতি নিজের সেই দলিলে বড়সড় পরিবর্তন এনেছেন তিনি। অসুস্থতার সময়ও এক বারের জন্যেও সন্তানদের পাশে পাননি লিউ। তাই হতাশা ও ক্ষোভ থেকেই জীবনের বড় সিদ্ধান্তে বদল এনেছেন লিউ।
ওই দলিলে লিউ উল্লেখ করেছেন যে, তার পরিবারে কেও নেই, তাই তার প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি পোষ্য বিড়ালছানা এবং কুকুরছানাদের নামে থাকবে। তার মৃত্যুর পর পোষ্যদের যত্ন এবং তাদের লালনপালনের কাজে সেই অর্থ ব্যবহার করা হবে। মহিলা তার নতুন দলিলের কথা নেটমাধ্যমে এসে সকলকেই জানিয়ে দিয়েছেন।
তবে চীনের আইন অনুযায়ী পোষ্যেরা কোনও সম্পত্তির অধিকারী হতে পারে না। তাই অনেকেই মহিলাকে দলিলে সামান্য পরিবর্তন করার পরামর্শও দিয়েছেন। ‘‘আপনি ভরসা করেন এমন কারও নামে সম্পত্তি লিখে দিতে পারেন, সেই আপনার পোষ্যদের রক্ষণাবেক্ষণ করবেন’’, এমন পরামর্শ দিয়েছেন অনেক নেটিজেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org