দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই ডায়েট করি ওজন ঝরানোর জন্য। তবে ডায়েট করতে হবে নিয়ম মেনেই। নেটের ভরসায় লো-কার্ব ডায়েট করলে পুষ্টির অভাবও হতে পারে শরীরে।
লো কার্ব ডায়েট শুরু করার পূর্বে এই ডায়েটের বিষয় কিছু জরুরি তথ্যও জেনে নিন। চটজলদি ওজন ঝরাতে বর্তমানে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন লো-কার্ব ডায়েট প্ল্যান। কেও আবার পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনেই সেই ডায়েট করছেন। কেও আবার কেবলমাত্র ইন্টারনেটের ভরসায় এটি করে থাকেন। ডায়েটে ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে দিলে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতিও হয়। যে কারণে শরীর মেদ গলিয়ে শক্তির জোগান দিতে শুরু করে দেয়। তাতে করেই ঝরতে শুরু করে ওজন। তবে ডায়েট করতে হবে নিয়ম মেনেই। নেটের ভরসায় ডায়েট করলে শরীরে পুষ্টির অভাবও হতে পারে। লো-কার্ব ডায়েট শুরু করার পূর্বে এই ডায়েটের বিষয়ে কিছু জরুরি তথ্যও জেনে নিন।
# একটানা দীর্ঘদিন ধরে লো-কার্ব ডায়েটে মেনে চলা মোটেও ভালো নয়। আপনার শরীরের গঠন, বয়স, কতোটা কায়িক পরিশ্রম করেন এই সবের উপরে নির্ভর করে আপনার ক’দিন এই ডায়েট করা উচিত, তা স্থির করেন একমাত্র পুষ্টিবিদরা।
# একটানা অনেক দিন লো-কার্ব ডায়েট মেনে চললে এই রকম ডায়েটের সময় পর্যাপ্ত পানি না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
# এই ডায়েট শুরু করার প্রথম দিকে শরীরে শক্তির ঘাটতিও দেখা যায়। সারাদিন দুর্বল ভাব, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরার মতো সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয়। লো-কার্ব ডায়েটের সঙ্গে যদি শরীরচর্চা করেন সেই ক্ষেত্রে প্রথম দিকে হালকা ব্যায়াম বা যোগাসন করতে পারেন।
# আবার শরীর চাঙ্গা রাখতে ফল খাওয়া জরুরি। প্রতিদিনের ডায়েটে যদি অনেক পরিমাণে ফল থাকে, তার থেকেও কিছুটা কার্ব শরীর পেয়ে যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে অন্য কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও কমাতে পারেন। বাজার থেকে কোনও কিছু প্যাকেটবন্দি খাবার কেনার পূর্বে অবশ্যই উপকরণ দেখে তারপর কিনুন।
# আপনার ডায়েট চলাকালীন সময় প্রয়োজনীয় সাপ্লিমেন্টও নেওয়া দরকার, যা ভিটামিন এবং ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করবে। সেই ক্ষেত্রে ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org