দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেশির ভাগ সময় দেখা যায় প্রথম কয়েক দিন চোখ লাল হয়ে অস্বস্তি হয়। সেই সমস্যা নিরাময় হলেও চোখের পাতার উপরের ফোলা ফোলা ভাব কিছুতেই কমছে না।
অনেক নারীই চোখের পাতার উপর কিছুতেই আইলাইনার পরতে পারছেন না। আঞ্জনি, কনজাংটিভাইটিস তেমন কিছুই হয়নি। তবে উঁচু ফোঁড়ার মতো কী যেনো একটা হয়েছে। কিছুতেই সেটি কমছে না। চশমা পরলে মোটামুটি ঠিক আছে। তবে চশমা খুললে খুব বাজে রকম দেখতে লাগছে। তারচেয়ে বেশি সমস্যার বিষয় হলো চোখের পলক ফেলতে গিয়ে ব্যথা টনটন করে উঠছে। প্রথম কয়েক দিন চোখ লাল হয়ে অস্বস্তিও হচ্ছিল। সেই সমস্যা নিরাময় হলেও চোখের পাতার উপরের ফোলা ফোলা ভাব কিছুতেই কমছে না। তাহলে কী এই ফোঁড়া আসলে আঞ্জনি না কী ব্রণ?
চিকিৎসকেরা বলেছেন, চোখের উপরের কিংবা নীচের পাতায় তৈলগ্রন্থি থাকে। সেই গ্রন্থির মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করল এক ধরনের ফুসকুড়ি হয়ে থাকে। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম হলো স্টাই। আবার, চোখের পাতায় থাকা তৈল গ্রন্থি ও অশ্রুগ্রন্থির মুখ কোনও কারে বন্ধ হয়ে গেলে ফুসকুড়ির মতো উপসর্গ দেখা যায়। তবে স্টাই-এর চেয়েও তা আকারে খানিকটা বড় হয়ে থাকে। এর পোশাকি নাম কোলেজ়িয়ান। তবে চোখের পাতার কোণে কিংবা নীচে এক ধরনের অতিরিক্ত চামড়াও দেখা যায়। দেখতে একেবারেই ফুসকুড়ির মতো নয়। অনেকটা হলুদ রঙের এই অংশটি প্রকৃতপক্ষে এক প্রকার ফ্যাট। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম হলো জ়ানথেলাজ়মা। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়লে অনেকের চোখে এই লক্ষণগুলো ফুটে ওঠে।
কী করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন?
চোখে কাপড় দিয়ে শুকনো গরম সেঁক দিলেই এই ধরনের ফুসকুড়ি অনেক সময় কমে যাওয়ার কথা। চোখের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ এবং প্রদাহ কমলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়াও চোখের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে। তবে ব্রণ ভেবে খোঁচা দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org