দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে আজ শেষ হলো এবারের ৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ফজরের নামাজের পর থেকে ইজতেমা ময়দানে বাড়ে ভিড়। মাঠে ঠাঁই না পেয়ে অনেকেই অবস্থান করেন আশপাশের সড়কে।
আজ রবিবার ১১ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে সকালে অনুষ্ঠিত হয় ইজতেমার এই পর্বের আখেরি মোনাজাত।
হেদায়েতি বয়ানের পর ইজতেমার শীর্ষ মুরব্বি দিল্লির মাওলানা সা’দের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এর আগে গতকাল (শনিবার) ইজতেমা ময়দানে সমবেত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উদ্দেশে ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বিরা ইমান আমল এবং দ্বীনের দাওয়াতে তাবলিগের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন।
শেষ পর্বের ইজতেমা ঘিরে গত শুক্রবার থেকে টঙ্গীর ইজতেমার ময়দান মুসল্লিদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। আজ আখেরি মোনাজাতে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা শরিক হন। তারা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিজের ইমানকে মজবুত করতে ও দ্বীনের পথে থাকার জন্য পরম করুণাময়ের কাছে আকুতি জানান। এই সময় টঙ্গীর তুরাগ তীর আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে যায়। আর এই মোনাজাতের মাধ্যমে ৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের সমাপ্ত ঘটে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org